স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, শরীয়তপুর:
এতদিন চোরের লক্ষ্যবস্তু ছিল বিলাসী পণ্য, স্বর্ণালংকার আর নগদ অর্থ কিন্তু হঠাৎ দাম বেড়ে যাওয়ায় শরীয়তপুরের দোকান থেকে চুরি হচ্ছে ভোজ্যতেল। আর বাজারে যথারীতি নাজেহাল ক্রেতা সয়াবিনের ডাবল সেঞ্চুরি দেখার আশঙ্কায়।
বোতলজাত তেল সরবরাহ হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ড্রামের এসব খোলা তেলই এক সপ্তাহ ধরে বিক্রি হচ্ছিল শরীয়তপুরে। পাইকারি পর্যায়ে ভোজ্যতেলের সংকটের মধ্যেই খোলা তেল বিক্রি শুরু করেছিলেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। দোকানগুলোর সামনেই দেখা যায় ড্রামভর্তি সয়াবিন আর পাম অয়েল।
কিন্তু তাতেও বাধ সেঁধেছে চোরচক্র। সম্প্রতি বিভিন্ন মুদি দোকানে হানা দিয়ে রাতের অন্ধকারে সয়াবিন তেল লুটে নিচ্ছে চোরের দল। যা ধরা পড়েছে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে। একের পর এক দোকানে সয়াবিন তেল চুরি হওয়ায় এলাকায় দেখা দিয়েছে চাঞ্চল্য। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বছরের পর বছর ড্রাম বাইরে থাকলেও সয়াবিন তেল চুরির ঘটনা এটাই প্রথম। এক দোকানদার জানালেন তারা ১১ ব্যারেল তেল চুরি হয়ে গেছে।
সয়াবিন ছাড়াও জ্বালানি তেলে নজর পড়েছে চোরের। শুধু সদরই নয় গোসাইরহাটসহ অন্য উপজেলাগুলোতেও বেড়েছে দৌরাত্ম্য। সম্প্রতি বেশকয়েকটি দোকান থেকে চোরের দল মোবাইল, ব্যাটারিসহ নানা ধরনের প্রয়োজনীয় ও বিলাসী পণ্য নিয়ে গেছে। তবে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ভিডিও ফুটেজ থাকলেও চোর ধরায় আন্তরিকতা নেই পুলিশের।
তবে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকতার হোসেন জানালেন, তেল চুরির ঘটনাটি খতিয়ে দেখছেন তারা। এ বিষয়ে পালং থানায় একটি মামলা হয়েছে বলেও জানালেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। তবে আশ্বাস নয় ব্যবসায়ীরা জানালেন, চোরদের গ্রেফতার করে দ্রুত উপযুক্ত শাস্তির আওতায় আনার ব্যবস্থা ব্যবস্থা করতে হবে।
এই যখন অবস্থা তখন দোকানে একজনকে দেখা গেলো ২০ টাকার তেল কিনতে এসেছেন। ভোক্তারা যে প্রকৃতই নাজেহাল অবস্থায় আছেন তা বোঝা গেলো এমন দৃশ্যে। গ্রামের বাজারে সয়াবিন ‘ডাবল সেঞ্চুরির’ পথে তাই ক্রয়ক্ষমতা হারিয়েছেন অনেকে।
/এডব্লিউ
Leave a reply