করোনা মোকাবেলায় সফল বাংলাদেশ, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দাবি

|

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ফাইল ছবি।

দেশে করোনা শনাক্তের ২ বছর হলো। এর মাঝে কমে এসেছে মহামারির প্রভাব। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক দাবি করেছেন, করোনা মোকাবিলায় সফল বাংলাদেশ। তবে সামনে যে আর কোনো ঢেউ আসবে না এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই বলে মত দিয়েছেন গবেষকরা। তবে আপাতত ধাপে ধাপে খুলে দেয়া হচ্ছে হাসপাতালের নন-কোভিড চিকিৎসা।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সবাই দিনরাত কাজ করেছে গত দুই বছর। সেখানে একমাত্র উদ্দেশ্যই ছিল দেশের মানুষকে টিকা দেয়া, হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থার করা, অক্সিজেন দেয়া। এই সবগুলো কাজ কিন্তু আমরা একসাথে করেছি। টিকার কারণে এখন দেশ সুরক্ষিত। এটা বিশাল সফলতা।

বিশ্বজুড়ে আচমকা অদৃশ্য আক্রমণ যেন এসেছিল করোনাভাইরাসের আবির্ভাবে। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে আক্রান্ত ব্যক্তি ঢলে পড়ছেন মৃত্যুর কোলে, এমন ভয়াবহ দৃশ্য ও অভিজ্ঞতা হয়েছে অগণিত মানুষের। অজানা কারনে তা আবার দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছিল জনে জনে। টানা দুই বছর করোনার ভয়াল থাবার শিকার হয় বাংলাদেশ। দেশে করোনার সংক্রমণ এখন গড়ে ২/৩ শতাংশ। কিছুদিন আগেও এটি বেড়ে হয়েছিল ৩৩/৩৪ শতাংশ।

সময়ের ব্যবধানে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে অনেকটাই। কোভিড ডেডিকেটেট কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে এখনও ভর্তি আছেন ২৯ জন। হাসপাতালটির সহকারী পরিচালক লে. ক. মো নাজমুল হুদা খান বলেন, যুদ্ধের মুখোমুখি হয়ে আমাদের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। টানা দুই বছর সব অপারেশন থিয়েটার বন্ধ ছিল। করোনার দ্বিতীয় ওয়েভের পর যখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছিল, তখন শুরু করেছিলাম। আবার ওমিক্রন আসায় তা ব্যাহত হয়। আমরা আবার সার্ভিসটি চালু করছি।

গবেষকরা বলছেন, করোনার আক্রমণ তুলনামূলক কম হলেও এখনও পুরোপুরি দূর হয়নি এই ভাইরাস। নতুন কোনো ওয়েভের আশঙ্কাও করছেন কেউ কেউ। আইইডিসিআর এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এস এম আলমগীর বলেন, আমাদের এটাও মনে রাখতে হবে যে, ভাইরাসটি পরিবর্তিত হয়ে মারাত্মক রূপ ধারণ করতে পারে। নতুন ভ্যারিয়েন্টের এখনও সম্ভাবনা আছে। পৃথিবীর সকল বিজ্ঞানীই বলছেন, আমাদের সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে পরিস্থিতি। সেই সাথে টিকা কতদিন কাজ করবে, সেটাও আমরা জানি না।

এম ই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply