বৃহস্পতিবার তুরস্কে আলোচনায় বসছেন রাশিয়া-ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

|

ছবি: সংগৃহীত

যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্রথমবারের মতো তুরস্কে বৈঠকে বসছেন ইউক্রেন ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার তুর্কি শহর আনতলিয়ায় হতে যাচ্ছে উচ্চপর্যায়ের এ বৈঠক। সেখান থেকেই আসবে ইউক্রেন সংকটের সমাধান। এমনটাই আশা করছেন অনেকে।

এদিকে, দুই দেশের আলোচনায় মধ্যস্থতায় আগ্রহের কথা জানিয়েছে চীন। রাশিয়ার মিত্র দেশগুলো সংকট সমাধানে এগিয়ে আসায় শিগগিরই ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শেষ হওয়ার কথা বলছেন বিশ্লেষকরা।

পশ্চিমাদের একের পর এক নিষেধাজ্ঞাও যখন পুতিনকে থামাতে পারেনি তখন আশার আলো দেখালো তুরস্ক। দেশটির হস্তক্ষেপে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্রথমবার হতে যাচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক। তাই বৃহস্পতিবার তুরস্কের আনতালিয়া শহরে নজর থাকবে গোটা বিশ্বের। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ও ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা ছাড়াও বৈঠকে থাকবেন তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু।

এর আগে, বেলারুশ সীমান্তে তিন দফায় দু’দেশের প্রতিনিধিরা বৈঠক করলেও সংকটের কোন সমাধান আসেনি। তবে তুরস্কের সাথে ইউক্রেন ও রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকায় উচ্চ পর্যায়ের এ বৈঠক থেকেই হয়তো আসতে পারে সমাধান- এমনটাই আশা সবার।

ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেন, বৈঠকের জন্য আমরা প্রস্তুত। ল্যাভরভের সাথে বৈঠক নিয়ে আমি আশাবাদী। সমস্যা সমাধানে আমরা বসে কথা বলবো। আশা করি, এটি একটি অর্থবহ বৈঠক হবে।

এদিকে, ইউক্রেন ইস্যুতে কথা বলেছে চীনও। সংকট সমাধানে দু’দেশের আলোচনায় মধ্যস্থতা করতে আগ্রহী দেশটি।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, দুই দেশকেই চলমান সংকট সমাধানে শান্তি আলোচনার আহ্বান করছি। আমরা যেকোনো শান্তিপূর্ণ পদক্ষেপকেই সমর্থন করি। আমরা দু’দেশের মাঝে শান্তি আলোচনায় ভূমিকা রাখতে চাই। এ বিষয়ে চীন আন্তর্জাতিক মহলের সাথে কাজ করতেও আগ্রহী।

পশ্চিমারা যখন ব্যর্থ, তখন চীন-তুরস্কের মতো রাশিয়ার মিত্রদেশগুলো মধ্যস্থতায় এগিয়ে আসায় অনেকেই বলছেন, শিগগিরই ইতি ঘটবে ইউক্রেন যুদ্ধের।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply