মেয়ের জন্মদিনে ভাবলেন নিজের হাতে কেক বানিয়ে চমকে দেবেন। জন্মদিন বলে কথা কোনো কিছুতেই কমতি রাখলেন না। কেকের সব সামগ্রী একেবারে লিস্ট মিলিয়ে কিনে আনলেন। আইসিংয়ের জন্য ক্রিমও নিয়ে এসেছেন মনে করে। তবে বেশ কিছু কমতি থাকার কারণে বাড়িতে বানানো কেক ঠিক মনের মতো হলো না। হতাশ হয়ে পড়লেন!
কখনও তাপমাত্রার হেরফের, কখনও ভুল পাত্র ব্যবহার, কখনও আবার উপাদানের অনুপাতে গোলমাল- কেক, কুকিজ বানানোর ক্ষেত্রে এই ভুলগুলি অনেকেই করে থাকেন। কিন্তু কয়েকটি সাধারণ নিয়ম মেনে চললেই আপনিও বেকিংয়ে পারদর্শী হতে পারেন। চলুন জেনে নেয়া যাক-
১) উপকরণগুলি যেন ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় থাকে। সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন। ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা দুধ বের করেই কেক বানাতে শুরু করবেন না। এতে কেক ফুলবে না। উপকরণগুলি স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এলে তবেই বেকিং শুরু করুন।
২) বেকিংয়ের ক্ষেত্রে সঠিক পরিমাণে ময়দা, চিনি, মাখনের ব্যবহার খুব জরুরি। উপকরণের মাত্রা ভুলভাল হয়ে গেলেই মুশকিল। উপকরণ মাপার জন্য ‘বেকিং কিট’ কিনতে পাওয়া যায়। বেকিংয়ের শখ থাকলে সে রকম একটি কিট কিনে নিতে পারেন। প্রণালী ঠিক করে জেনে নিয়ে তবেই কেক বানানো শুরু করুন।
৩) বেকিংয়ের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো অভেনটি ‘প্রি হিট’ করা। অনেকেই প্রেশার কুকারে কেক তৈরি করেন, সে ক্ষেত্রেও কুকারটি গরম করে নিতে ভুলবেন না।
৪) কেক বানানোর আগে সব উপকরণ হাতের সামনে রাখুন। তা হলে বানানোর ক্ষেত্রে সুবিধা হয়। ময়দা, চিনি, বেকিং পাউডার, কোনটি কী পরিমাণে লাগবে, সেসব আগে থেকেই মেপে রাখুন। কোনো উপকরণ বাদ পড়ে গেলেই বাজারের মতো কেক হবে না!
৫) অনেকেই মনে করেন অনেকক্ষণ ধরে মিশ্রণটি ফাটালে কেক নরম হবে। এই ধারণা একেবারেই ভুল। চিনি এবং সব তরল উপকরণ খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। ময়দা দিয়ে খুব বেশিক্ষণ ফেটানোর প্রয়োজন নেই। ময়দা সব উপকরণের সঙ্গে ভালো করে মিশে গেলেই কেক বানানো শুরু করতে পারেন।
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
ইউএইচ/
Leave a reply