যুদ্ধে অংশ নিলেই মিলবে নাগরিকত্ব, ঘোষণা ইউক্রেনের

|

ছবি: সংগৃহীত।

বিশাল শক্তিধর রাশিয়ার সাথে যুদ্ধে সামিল ছোট্ট ইউক্রেন। দেশটিতে নাগরিকের সংখ্যা কম হওয়ায় এখানে যুদ্ধ করার জন্য বেসামরিক নাগরিকদেরও উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। তবে এবারে বিদেশি স্বেচ্ছাসেবীদের জন্য একটি প্রস্তাব রেখেছে ইউক্রেন সরকার। রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ ইউক্রেনের নাগরিকত্ব দেয়া হবে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

বুধবার (৯ মার্চ) দেশটির উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়েভেন ইয়েনিন এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দিয়েছেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য কিয়েভ ইন্ডিপেনডেন্টের তথ্য মতে, গত ৬ মার্চ পর্যন্ত মোট ২০ হাজার বিদেশি স্বেচ্ছাসেবী ইউক্রেনের হয়ে যুদ্ধে অংশ নিয়েছে। এ অবস্থায় যুদ্ধে অংশগ্রহণের শর্তে নাগরিকত্ব দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। এ ক্ষেত্রে জীবনের ঝুঁকি ও অনিশ্চিত আইনি ভিত্তি থাকা সত্ত্বেও বহু মানুষ এই প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছেন এরই মধ্যে।

মঙ্গলবার (৮ মার্চ) যুদ্ধ করার উদ্দেশ্যে যারা ইউক্রেনে প্রবেশ করছে তাদের জন্য ভিসার প্রয়োজনীয়তা অস্থায়ীভাবে বাতিল করেছে দেশটির সরকার। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির বিশ্ববাসীর প্রতি ইউক্রেন, ইউরোপ ও সর্বোপরি বিশ্বের হয়ে যুদ্ধে অংশ নেয়ার আহ্বান জানানোর পরই এই সিদ্ধান্ত আসে।

এর আগে গত রোববার (৬ মার্চ) দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা বলেন, যারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের হয়ে যুদ্ধ করতে আগ্রহী, তারা নিজ নিজ দেশে ইউক্রেনের কূটনৈতিক মিশনের কার্যালয়ে যোগাযোগ করুন। আমরা একসাথে হিটলারকে পরাজিত করেছি, সেইভাবে একসাথে আমরা পুতিনকেও হারাবো।

প্রসঙ্গত, রাশিয়া-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ডনবাস অঞ্চলের কিছু অংশ দখল করার পর ২০১৪ সাল থেকেই বিদেশি নাগরিকরা ইউক্রেনের হয়ে যুদ্ধ করছে। এখন পশ্চিমারা জেলেনস্কির পক্ষে যোগদান করতে ইচ্ছুক বিদেশি নাগরিকদের জন্য নিজেদের সমর্থন বাড়িয়েছে এবং ইউক্রেনের দূতাবাসগুলো প্রকাশ্যে বিদেশিদের যোদ্ধা হিসেবে নিয়োগের জন্য কাজ করছে।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply