মেহেরপুরে এবার আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু দাম পড়ে যাওয়ায় উৎপাদন খরচ তুলতে পারছে না কৃষক। হতাশ হয়ে পড়েছেন অনেকে। নগদ অর্থের প্রয়োজন বাড়তে থাকায় মাঠ থেকেই অনেকে আলু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। মধ্যসত্বভোগীরা এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে হিমাগারে আলু সংরক্ষণ করছেন।
কয়েক মাস আগেও আলুর বাজার দর ভালো পাওয়ায় লাভবান হয়েছেন মেহেরপুরের কৃষকরা। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ ধরে বাজার দর কমে যাওয়ায় বিপাকে এখন অনেক চাষি। বিঘাপ্রতি ৩৫ হাজার টাকা খরচে উৎপাদন হচ্ছে প্রায় ১০০ কেজি আলু। উৎপাদিত আলু জমি থেকে ৮ থেকে ৯ টাকায় কিনে তা বিক্রি করছে দুই-তিন টাকা লাভে। তারা বলছেন, সার, বিষ, কীটনাশক কিনতে হয়েছে বেশি দামে। কিন্তু বিক্রির সময় পাচ্ছেন না দর।
ঋণ নিয়ে আলু চাষ আর বিঘাপ্রতি ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা লোকসান হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন অনেক চাষি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, মোকামগুলোতে গত বছরের আলু মজুত থাকায় দাম পাওয়া যাচ্ছে না। আর আলু ভেজা থাকায় কোল্ড স্টোরেজে সংরক্ষণ করা যাচ্ছে না।
আলু সংরক্ষণ করে যেন বাজার দর ভালো পায় সেজন্য মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের পরামর্শের পাশাপাশি সহায়তা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক স্বপন কুমার খাঁ। জেলা কৃষি বিভাগ বলছে, চলতি বছর জেলায় প্রায় ১২০০ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়েছে।
এসজেড/
Leave a reply