ইউক্রেনে বাংলাদেশি জাহাজে হামলার শিকার নাবিকরা দেশে ফিরলেও এখনো ফেরেনি নিহত নাবিক হাদিসুর রহমানের মরদেহ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তার মরদেহ দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া চলছে। তবে হাদিসুরের মরদেহ ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি জেনেও বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন তার পরিবারের সদস্যরা। এ সময় হাদিসুরের বাবা-মা ও ভাইয়ের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে বিমানবন্দর এলাকা।
শেষবারের মতো সন্তানের মুখ দেখার আকুলতা ঘিরে ছিল হাদিসুরের স্বজনদের। নিহত হাদিসুরের বাবা আব্দুর রাজ্জাক বিমানবন্দরে এসেছিলেন ছেলের একটি ছবি সাথে নিয়ে। চিৎকার করে বারবার ছেলের নাম ধরে ডাকছিলেন তিনি, মূর্ছা যাচ্ছিলেন কাঁদতে কাঁদতে। ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজের সবাই ফিরেছে, কেবল খালি হয়েছে হাদিসুরের বাবা-মার বুক।
জীবিত হাদিসুর বা তার লাশ, কোনোটিই আসবে না জেনেও বিমানবন্দরে এসেছিলেন হাদিসুরের মা এবং ভাই। মা খুঁজছেন তার পরম আদরের সন্তানকে, ভাই খুঁজছেন ভাইকে। তাদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছিল বিমানবন্দর এলাকা।
হাদিসুরের সহকর্মী যারা ফিরেছেন তাদের মনে তরতাজা সেই দিনের ঘটনা। নিজেরা বেঁচেছেন, কিন্তু রেখে আসতে হয়েছে সহকর্মী হাদিসুরের মরদেহ। সাত দিন আগেই ইউক্রেনে জাহাজে হামলায় নিহত হন থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান।
প্রসঙ্গত, ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হলে ২ মার্চ দেশটির ওলভিয়া বন্দরে নোঙ্গর করা জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ হামলার শিকার হয়। সেখানে মারা যান জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান।
আরও পড়ুন: দেশে ফিরেছেন ইউক্রেনে আটকে পড়া ২৮ নাবিক
এম ই/
Leave a reply