গত ২৮ ফেব্রুয়ারি স্যাটেলাইটে ধারণ করা এক চিত্রে দেখা যায় ইউক্রেনের দিকে আগাচ্ছে প্রায় ৪০ মাইল দৈর্ঘ্যের একটি রুশ বহর। দ্য ইন্ডিপেনডেনটের খবর অনুযায়ী কিয়েভ থেকে ১৯ মাইল দূরে থাকা অবস্থায়ই বহরটির যাত্রা স্থবির হয়ে পড়ে। বিভিন্ন রিপোর্টে বলা হয়েছে, যান্ত্রিক ও জ্বালানি সরবরাহের সমস্যার কারণে বহরটি আটকে আছে। এবার বহরটি সম্পর্কে এসেছে চাঞ্চল্যকর এক তথ্য। সামনের দিনগুলোতে ইউক্রেনে প্রচুর ঠান্ডা পড়বে। এতে ওই বহরে থাকা সৈন্যরা মারা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন বাল্টিক নিরাপত্তা ফাউন্ডেশনের গ্লেন গ্রান্ট নামে একজন সিনিয়র প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ। তিনি মার্কিন সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন নিউজউইককে এ কথা বলেন।
গ্লেন গ্রান্ট বলেন, যদি রুশ বাহিনীর ট্যাংকগুলোর ইঞ্জিন চালু না রাখা হয় তাহলে ট্যাংকগুলোর রেফ্রিজারেটরে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। রুশ সেনারা এই ঠান্ডা ট্যাংকে অপেক্ষা করবে না। তখন তারা ট্যাংক থেকে বের হয়ে বনের দিকে হাঁটা শুরু করবে এবং ঠান্ডা এড়াতে আত্মসমর্পণে বাধ্য হবে।
খবরে জানা যায়, পূর্ব ইউরোপে শীঘ্রই ঠান্ডার পরিমাণ অনেক বাড়বে। সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে এই তাপমাত্রা মাইনাস বিশ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছুতে পারে। এরইমধ্যে কিয়েভ ও এর আশেপাশের তাপমাত্রা মাইনাস ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে সাবেক ব্রিটিশ মেজর কেভিন প্রাইস ডেইলি মেইলকে বলেছেন, পারদ কমে যাওয়ার সাথে সাথে রুশ ট্যাংকগুলো ৪০ টনের ফ্রিজার ছাড়া আর কিছুই হবে না।
দুই সপ্তাহ আগে পুতিন ইউক্রেনে রুশ বাহিনীকে আগ্রাসনের অনুমতি দেন। কিয়েভের বর্তমান নেতাদের নব্য নাৎসি আখ্যা দিয়ে তাদের হঠাতে এই অভিযান শুরু করেন পুতিন। এবং অভিযানের নাম দেন ‘বিশেষ সামরিক অভিযান।’ এরপর থেকে প্রায় ২০ লক্ষ ইউক্রেনীয় দেশ ছেড়েছেন। তাদের বেশিরভাগই আশ্রয় নিয়েছেন পোল্যান্ডে। সংঘাতে ইউক্রেনের বেসামরিক বহু বেসামরিক নাগরিকসহ হতাহত হয়েছেন দুই পক্ষের সামরিক সদস্যরা। কয়েক দফা শান্তি বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও আসেনি তেমন কোনো সমাধান। অপরদিকে রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে দেশটির ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলো। সূত্র: এনডিটিভি।
জেডআই/
Leave a reply