দ্বিতীয়বারের মতো ঢাকা কর অঞ্চল-১৫’র আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত

|

মঙ্গলবার (৮ মার্চ) আন্তর্জাতিক নারী দিবস। দিবসটি উপলক্ষে ঢাকা কর অঞ্চল-১৫’র সম্মেলন কক্ষে আয়কর কর্মকর্তা ও অত্র কর অঞ্চলের সকল নারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অংশগ্রহণে আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২২ উপলক্ষে এক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। কর কমিশনার মো. মাহমুদুর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় কর অঞ্চল-১৫, ঢাকার সকল রেঞ্জ কর্মকর্তা, সদর দফতরের সকল কর্মকর্তা এবং সকল নারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ অংশ গ্রহণ করেন।

সভাপতি মো. মাহমুদুর রহমান তার বক্তব্যের শুরুতে জাতিসংঘ কর্তৃক ২০২২ সালের জন্য নির্ধারিত দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘আজকের সমতায় টেকসই আগামী’ এর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। অতঃপর তিনি কর কমিশনার সরকার কর্তৃক ঘােষিত নারী দিবসের স্লোগান ‘টেকসই আগামীর জন্য জেন্ডার সমতাই আজ অগ্রগণ্য এর বাস্তবায়নে কি কি করণীয় সে বিষয়ে সকলের মতামত গ্রহণ করেন এবং গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।

তিনি বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্রকে জাতীয় জীবনের সকল স্তরে নারীদের অংশগ্রহণ ও সুযােগের সমতা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। উক্ত দায়িত্ব পরিপালনে রাষ্ট্র নারীদের যথার্থ মর্যাদা প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি অর্থনৈতিক, সামাজিক, প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে নারী শিক্ষার বিস্তার, নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা, নারীর ক্ষমতায়নসহ নারীর প্রতি সব ধরনের সহিংসতা প্রতিরােধে ব্যাপক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে, তেমনি নারীকেও তার নিজস্ব অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এগিয়ে আসতে হবে।

কর কমিশনার জনাব মো. মাহমুদুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে রােল মডেল। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও সামাজিক সূচকে এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বজুড়ে নারীর সাফল্য আজ অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়। প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন অবদানের জন্য অনেক আন্তর্জাতিক সম্মাননা পেয়েছেন।

তিনি আরও বলেন সমাজ, রাষ্ট্র ও পারিবারিক উন্নয়নে নারী-পুরুষের সম অংশগ্রহণ উন্নয়নের একটি অপরিহার্য পূর্বশর্ত। বর্তমান সরকারের কৌশলগত ও বাস্তবমুখী কর্মসূচির মধ্য দিয়ে উন্নয়নের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে। দেশে সব ধরনের পেশাতে নারীদের আজ সফল পদচারণা। রাজনীতি, প্রশাসন, অর্থনৈতিক কর্মকান্ডসহ সর্বক্ষেত্রেই নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে। মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ উন্নয়ন ইত্যাদি সূচকে বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশের সারিতে প্রবেশ করেছে। এ সাফল্যের মূলে রয়েছে পুরুষের পাশাপাশি নারীর সক্রিয় অংশগ্রহণ। নারী তার মেধা ও শ্রম দিয়ে যুগে যুগে সভ্যতার সকল অগ্রগতি ও উন্নয়নে সম-অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করেছে। সারাবিশ্বে আজ তাই নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলে গেছে। এখন নারীর কাজের মূল্যায়ন হচ্ছে, বাড়ছে স্বীকৃতি। সভাপতি মহােদয় বলেন, নারী-পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছি, একইভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শী নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ সােনার বাংলাদেশ গড়ে তােলাও সম্ভব হবে।

দ্বিতীয় বারের মতো নারী দিবস উদযাপন উপলক্ষে আরও বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত কর কমিশনার জনাব মো. সিরাজুল করিম, অতিরিক্ত কর কমিশনার জনাব শাওন চৌধুরী, যুগ্ম কর কমিশনার জনাব মােহাম্মদ ওয়াহিদ উল্লাহ খান, উপ কর কমিশনার, সদর দফতর (প্রশাসন), অমিত কুমার দাস, উপ কর কমিশনার, সদর দফতর (প্রায়ােগিক), জনাব কে এম আজহারুল ইসলাম, উপ কর কমিশনার, মাে. আহসান উল্লাহ রাসেল, উপ কর কমিশনার, মিজ নাফিসা নুর তালুকদার, সহকারী কর কমিশনার, মিজ কাজী ফারজানা লীনা, সহকারী কর কমিশনার, মিজু উম্মে আয়মান কাশমী প্রমুখ ব্যক্তিত্ব।

তারা বলেন, ইউনেস্কো কর্তৃক ১৯০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা হয়। তারপর থেকে ৮ মার্চ পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। লিঙ্গবৈষম্য দুর, শিল্প-সাহিত্যসহ সকল ক্ষেত্রে এবং সমাজের সমস্ত কাজে মহিলাদের অবদানকে স্বীকৃতি দিতেই এই দিনটি পালিত হয়। কর বিভাগে কর্মরত সকল নারী কর্মীদের যােগ্য মর্যাদা প্রদানের মাধ্যমে নারী-পুরুষ সমতার জয়যাত্রা সূচিত হবে। রাজস্ব আহরণে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকল নিবেদিত প্রাণ কর্মীর স্বতদীপ্ত উদ্যোগ ও পরিশ্রমে সােনার বাংলাকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার স্বপ্ন বাস্তবে রূপলাভ করবে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply