নেত্রকোণায় মুখে গামছা বেঁধে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ

|

প্রতীকী ছবি।

স্টাফ রিপোর্টার, নেত্রকোণা:

নেত্রকোণার খালিয়াজুরী উপজেলায় মুখে গামছা বেঁধে এক গৃহবধূকে (৩৫) ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিন জনকে আসামি করে ঘটনার তিনদিন পর নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) মামলাটি দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী নারী।

ঘটনাটি ঘটেছে ওই উপেজলার নগর ইউনিয়নের কুশালপুর গ্রামে। ওই গ্রামের ব্যবসায়ী সুধীর তরফদার (৪০)সহ তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। সোমবার (৭ মার্চ) রাতে এ ঘটনাটি ঘটে।

মামলার সূত্রে জানা যায়, খালিয়াজুরী উপজেলার নগর ইউনিয়নের কুশালপুর গ্রামের জনৈক দিনমজুর তার স্ত্রী ও দুই সন্তানকে বাড়িতে রেখে কাজের উদ্দেশে ঢাকায় যান। এই সুযোগে সোমবার রাতে অনুমানিক দেড়টার দিকে গৃহবধূ প্রকৃতির ডাকে ঘর থেকে বের হয়ে পূনরায় ঘরের ভেতরে এসে দরজা বন্ধ করার সময় তিন ব্যক্তি দরজা ধাক্কা দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে। এসময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই তার মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে ঘরের মেঝেতে ফেলে তাকে ঝাপটে ধরে। অন্য দু’জন প্রাণনাথ সরকার (৪০) ও বাবুল সরকার (৪২) বাইরে অপেক্ষা করে। তখন গৃহবধূ চিৎকার করার চেষ্টা করলে সুধীর তরফদার তার মুখ চেপে ধরে রাখে।

এমন সময় তার পা লেগে হাঁড়িপাতিল পড়ে শব্দ হলে তার ১১ বছরের ছেলের ঘুম ভেঙে যায়। ছেলেটি চিৎকার দিলে তারা পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে খবর পেয়ে গৃহবধূর স্বামী বাড়ি এলে বিষয়টি গ্রামের প্রতিবেশীদের জানিয়ে মামলাটি দায়ের করা হয়। ভুক্তভোগী গৃহবধূ জানান, দীর্ঘদিন ধরেই সুধীর তরফদার তাকে কু প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। স্বামী ঢাকায় কাজ করার কারণে প্রায়শই একই কথা বলতো সে। এতে সাঁয় না দেয়ায় ফাঁকা বাড়ি পেয়ে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আমি আমার সন্তানের কাছে লজ্জা পেয়েছি। সমাজে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছি। এর সঠিক বিচার চাই।

খালিয়াজুরী থানার উপ-পরিদর্শক মো. মহর আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তিনজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে প্রাথমিকভাবে ধারনা করি এ ঘটনাটি সত্য।

এ বিষয়ে খালিয়াজুরী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মজিবুর রহমান জানান, ভিক্টিম থানায় হাজির হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে সংশ্লিষ্ট ধারায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আসামিকে গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চলছে।

/এনএএস


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply