পরীক্ষামূলকভাবে চালুর পর এবার বাণিজ্যিকভাবে চালু হচ্ছে পঞ্চম প্রজন্মের টেলিযোগাযোগ সেবা ফাইভ জি। এ লক্ষ্যে আগামী ৩১ মার্চ ফাইভ জির জন্য তরঙ্গ নিলামের আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন, বিটিআরসি। নিলামে অংশ নিচ্ছে সরকারি-বেসরকারি সবকয়টি মোবাইল অপারেটর। সংশ্লিষ্টদের অভিমত, যোগাযোগ প্রযুক্তিতে আমুল পরিবর্তন আনবে ফাইভ জি সেবা। তবে ফাইভ জির জন্য তরঙ্গের উচ্চমূল্যে হতাশ মোবাইল ফোন অপারেটররা।
লাইসেন্স পাওয়ার পর, অপারেটরদের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের বিভিন্ন বাধ্যবাধকতা রয়েছে। প্রথম বছরের মধ্যে দেশের ১০ শতাংশ মানুষকে কাভারেজের আওতায় আনতে হবে। এভাবে পর্যায়ক্রমে পাঁচ বছরের মধ্যে দেশের ৫০ শতাংশ মানুষের কাছে ফাইভ জি সেবা পৌঁছে দিতে হবে। বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্রের অভিমত, শুরুতে গ্রাহকের ব্যাক্তিগত ব্যবহারের তুলনায় উৎপাদন কর্মকাণ্ডেউ বেশি ব্যবহার হবে এই প্রযুক্তি।
মোট ১৮টি ব্লকে নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ২৩০০-২৪০০ মেগাহার্টজে ৬টি, ২৫০০-২৬৯০ মেগাহার্টজে ১২টি ব্লক রয়ছে। এরমধ্যে ২৩শ-২৪শ-তে প্রতি ব্লকে ১০ এবং ২৫শ থেকে ২৬শ ৯০ মেগাহার্টজেও প্রতি ব্লকে ১০ মেগাহার্টজ করে তরঙ্গ নিলামে উঠবে। ফাইভ জির জন্য প্রতি মেগাহার্টজ তরঙ্গের ভিত্তিমূল্য ধরা হয়েছে প্রায় ৫১ কোটি ৯০ লাখ টাকা। তবে রবির কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্সের চিফ শাহেদ আলম বলছেন, তরঙ্গ মূল্য সহনীয় নয়। উচ্চ মূল্যের কারণে হতাশাও প্রকাশ করেন তিনি।
অপারেটরদের ফাইভ জি চালুর জন্য ৬ মাসের রোল আউট অবলিগেশন দিয়েছে বিটিআরসি। যা তরঙ্গ কেনার দিন থেকে কার্যকর হবে।
/এডব্লিউ
Leave a reply