ধর্ষণের পর হত্যা, টাঙ্গাইলে যুবকের মৃত্যুদণ্ড

|

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, টাঙ্গাইল:

টাঙ্গাইলে ১২ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় এক যুবকের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১৪ মার্চ) দুপুরে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন এ রায় দেন। ধর্ষক ও হত্যাকারীর নাম মো. মাজেদুর রহমান (২৬)। সে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মগড়া ইউনিয়নের মিরপুর মধ্যপাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ৯ অক্টোবরে বিকাল আনুমানিক ৫টার দিকে মিরপুর মধ্যপাড়া গ্রামের মাজেদুর একই গ্রামের সাদেক আলীর ১২ বছরের মেয়ে শান্তা আক্তারকে ধর্ষণ করে। শিশুটি কাঁদতে থাকে এবং এ ঘটনা তার মা-বাবাকে জানাবে বলে। ধর্ষণের ঘটনা জানাজানির ভয়ে মাজেদুর মেয়েটিকে গলা টিপে ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে হত্যা করে। পরে পাশের একটি ঝোপে তার লাশ ফেলে লতাপাতা দিয়ে ঢেকে দেয়।

শিশু শান্তাকে না পেয়ে তার মা-বাবা খোঁজাখুঁজি শুরু করে। সন্ধ্যার দিকে ওই গ্রামের এক ছোট্ট শিশু শান্তার বাবাকে জানায়, শান্তাকে সে মাজেদুরের সঙ্গে কুশাল বাগানে যেতে দেখেছিল। পরে সেখানে গিয়ে দেখতে পায় ঝোপের মাঝে শান্তার মৃতদেহ।

টাঙ্গাইল সদর থানা পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলে মাজেদুর জানায়, শান্তাকে সে কুশাল খেতে ধর্ষণ করার পর ভয় দেখায় যে বলে দিলে মেরে ফেলবে। পরে শান্তা বলে দেয়ার কথা বললে তাকে হত্যা করে। এ ঘটনায় ওই দিনই শান্তার বড় ভাই সানি আলম বাদী হয়ে মাজেদুরকে আসামি করে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা করেন। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করেন মাজেদুর।

রায় পেয়ে মামলার বাদী সানি আলম বলেন, আমি অনেকটাই সন্তুষ্ট এ রায়ে। দ্রুত রায় কার্যকর হোক সেটাই এখন প্রত্যাশা আমাদের।

এ বিষয়ে নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি আলী আহম্মেদ বলেন, দুই বছরের মাথায় এ ঘৃণিত অপরাধের রায় হয়েছে। আমরা রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply