রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি ফেরাতে অস্থায়ী ১৫ দফা চুক্তির উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। আলোচিত এই চুক্তির মধ্যে রয়েছে যুদ্ধবিরতি ও ইউক্রেন থেকে রাশিয়ার সেনা প্রত্যাহারের মতো বিষয়গুলো। আলোচনায় থাকা তিনজনের বরাত দিয়ে বুধবার (১৬ মার্চ) এ খবর প্রকাশ করে ফিনান্সিয়াল টাইমস।
গত সোমবার প্রথমবারের মতো ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যকার আলোচনায় প্রস্তাবিত এই চুক্তির ব্যাপারটি উঠে আসে। যেখানে শর্ত ছিল, কিয়েভ ন্যাটোতে যোগ দেয়ার উচ্চাকাঙ্খা পরিত্যাগ করবে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যের মতো মিত্রদের কাছ থেকে সুরক্ষার বিনিময়ে বিদেশি সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করতে দিবে না।
শান্তিচুক্তির ব্যাপারে দুই দেশই আশাব্যঞ্জক অগ্রগতির কথা বললেও ইউক্রেনের কর্মকর্তারা রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন শান্তি রক্ষায় সম্পূর্ণভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ কিনা সে ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তাছাড়া যুদ্ধে মস্কো তার বাহিনীকে পুনরায় সংগঠিত করতে এবং আক্রমণ পুনরায় শুরু করার জন্য সময় কিনতে পারে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইউক্রেনের কর্মকর্তারা। কারণ, পুতিন বুধবারও আপোষের কোনো চিহ্ন দেখাননি।
তবে শান্তিচুক্তির ইঙ্গিত দিয়ে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, সুইডেন-নরওয়ের মতো আমরা ইউক্রেনকেও একটি নিরপেক্ষ দেশের ভূমিকায় দেখতে চাই। এক্ষেত্রে দেশটির নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্বও নিশ্চিত করা হবে। এর পাশাপাশি ইউক্রেনকে কেন্দ্র করে ন্যাটোর সীমানা বিস্তার বন্ধ করতে হবে। পশ্চিমারা মূলত মস্কো-কিয়েভ সমঝোতা চায় না। বরং উত্তেজনা উস্কে দিয়ে স্বার্থ হাসিল করতে চায়।
অন্যদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়ার সাথে সমঝোতার জন্য আমাদের প্রত্যেক কর্মকর্তা-প্রতিনিধি দিনরাত কাজ করছেন। কারণ, চুক্তির মাধ্যমেই ইতি ঘটে যেকোনো যুদ্ধের। আশার কথা হলো রাশিয়ার সাথে সমঝোতার বিষয়টি আশার আলো দেখতে শুরু করেছে।
জেডআই/
Leave a reply