শহরের সীমানা ছাড়িয়ে গ্রামগঞ্জের আনাচে কানাচে রোমান্স অর্থাৎ চুটিয়ে প্রেমের কাহিনী শোনা যায় আজকাল। সৃষ্টির আদিকাল থেকে প্রেমকে সঙ্গী করে মানুষ তাদের জীবন সঙ্গিনী খুঁজে নেয়। কিন্তু প্রেম যে সবসময় মধুর হবে এমন কোনো কথা নেই। কখনও সময় কাটাতে কিংবা নাটুকেপনা করতে অনেকেই আবার প্রেমের খেলা করেন। ফলে নকল প্রেমের কবলে অনেককে প্রতারণার শিকার হতে হয়। তার ওপরে রয়েছে গোপনে পরকীয়ার সম্পর্ক।
নিউজ এইটিনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পৃথিবী জুড়েই প্রেমের ইতিহাস কম নয়। সম্প্রতি প্রেম নিয়ে প্রেমিক- প্রেমিকাদের মধ্যে সমীক্ষা চালিয়েছে লন্ডনের ‘দ্য বটল ক্লাব’। ওই সমীক্ষায় উঠে এসেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। তা নিয়ে ইতোমধ্যেই তোলপাড় গোটা সোশ্যাল মিডিয়া। এবার এক নজরে দেখে নেয়া যাক সমীক্ষায় যে বিষয়গুলো উঠে এসেছে।
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এখন পর্যন্ত প্রেমের কাহিনিতে গোটা বিশ্বের বাকি শহরকে পিছনে ফেলে এগিয়ে তালিকার শীর্ষে রয়েছে লন্ডন। শুধুমাত্র চুটিয়ে প্রেমই নয়, নাটুকে প্রেমের ঘটনায়ও তালিকার শীর্ষে রয়েছে ঐতিহ্যের শহর লন্ডন। পাশাপাশি পরকীয়াতেও তালিকার প্রথম নম্বরে জ্বলজ্বল করছে এ শহরের নাম।
ওই সমীক্ষায় প্রথমে দেখা হয়েছিল, পৃথিবীর কোন শহরের প্রেমিক-প্রেমিকারা তাদের নিজেদের প্রতি বেশি আকৃষ্ট। তাতে ৮০ নম্বরের মধ্যে প্রায় ৭৩ নম্বর পেয়ে তালিকায় প্রথমে রয়েছে লন্ডন। ওই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আমেরিকার লাস ভেগাস। এই শহরের প্রাপ্ত নম্বর ৬৭.৬। এরপরেই ৬৬.৫ নম্বর পেয়ে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে নিউইয়র্ক।
এ বিষয়ে দ্য বটল ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, লন্ডন শহরের নাম প্রথমে থাকাই স্বাভাবিক কারণ, এখানে ১ লাখের বেশি মানুষ পর্ন সাইটে অ্যাকাউন্ট তৈরি করেছেন। এছাড়াও ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাপ্তবয়স্কদের সাবস্ক্রিপশন সাইট থেকে তাদের অর্থ উপার্জন করছেন নিয়মিত।
শুধুমাত্র প্রেম নয়, প্রেমে প্রতারণার ঘটনায়ও বিশ্বে সেরা শহরের তালিকায় রয়েছে লন্ডনের নাম। দ্য বটল ক্লাবের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, লন্ডন শহরে বেশির ভাগ দম্পতি এবং প্রেমিক-প্রেমিকারা একে অপরকে বেশি প্রতারণা করে। এ বিষয়ে তথ্য তুলে ধরে জানান হয়েছে, লন্ডনে বসবাসকারী ৭৫ লক্ষ মানুষের মধ্যে প্রায় ১ লক্ষ মানুষ পরকীয়া সম্পর্কে লিপ্ত। বিবাহিত বেশির ভাগ দম্পতিই অবৈধ সম্পর্কে আবদ্ধ।
ইউএইচ/
Leave a reply