নিজেকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলাম, আত্মহত্যা নিয়ে মুখ খুললেন সালমান খান

|

ছবি: সংগৃহীত।

বলিউড সুপারস্টার সালমান খান সবসময়ই ভক্তদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন। তাকে নিয়ে যেনো আলোচনার শেষ নেই। পর্দায় যিনি দুষ্টের দমন করে শিষ্টের পালন করেন, দর্শকদের ভালো থাকা ও রাখার বার্তা দেন সেই তিনিই কিনা একসময় আত্মহত্যা করতে চাইতেন! কিন্তু কেনো?

আসলে ‘ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়া’ নামে নার্ভের এক রোগে ভুগেছিলেন সালমান। এই রোগটিকেই ‘আত্মহত্যার রোগ’ বলা হয়। কারণ এই রোগে এতোটাই যন্ত্রণার শিকার হন রোগী, যে একসময় তার মনে হয় আত্মহত্যাই হয়ত একমাত্র মুক্তির পথ।

এই রোগের পর সালমানের ক্ষেত্রেও ঠিক এমনটাই ঘটেছিল। দুবাইয়ে ‘টিউবলাইট’ সিনেমার ‘রেডিও’ গানটি প্রকাশের অনুষ্ঠানে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানান তিনি। রোগটি নিয়ে যেনো সচেতনতা বাড়ে সেই উদ্দেশ্যেই জনসমক্ষে সেই কথা তুলে ধরেন ‘ভাইজান’।

সালমান বলেন, এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর সারা মুখ জুড়ে অসহ্য যন্ত্রণা হতো। ঠিকমতো মুখ খুলতে পারতাম না। কথা বলতে পারতাম না ভালোভাবে, জড়িয়ে যেত। গলার স্বর ভেঙে গিয়েছিল। ওই সময় রমজান মাস চলছিল। সবাই ভাবতে শুরু করেছিল আমি মদ্যপান করা শুরু করেছি। কিন্তু আমি রমজান মাসে মদ্যপান করি না।

সালমান আরও বলেন, যন্ত্রণায় পাগল হয়ে একটা সময়ে তার নিজেরও আত্মহত্যার ইচ্ছে হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত নিজেকে হারতে দেননি তিনি। যন্ত্রণা থেকে দূরে থাকতে, ভুলে থাকতে পরিশ্রম আরও বাড়িয়ে দেন। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের আত্মহত্যার হার সবচেয়ে বেশি বলেও সাক্ষাৎকারে জানান সালমান।

কিন্তু কী এই রোগ? মূলত, মুখের স্নায়ুতে প্রদাহের কারণেই হয় এই ডিসঅর্ডার। এর ফলে হতে পারে মারাত্মক যন্ত্রণা। দাঁত মাজা, এমনকি মুখ ধোয়ার সময় শুরু হতে পারে ব্যথা। কয়েক সেকেন্ড থেকে কয়েক মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে ব্যথা।

প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে সালমানের হাতে রয়েছে একগুচ্ছ সিনেমা। চলতি বছরের ৩০ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে তার ‘কাভি ইদ কাভি দিওয়ালি’ এবং আগামী বছর ঈদে মুক্তি পাবে ‘টাইগার থ্রি’। এই সিনেমায় আবারও জুটি হয়েছেন সালমান খান ও তার প্রাক্তন প্রেমিকা ক্যাটরিনা কাইফ।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply