অক্টোবরে শুরু হচ্ছে বাঘশুমারি

|

আসন্ন অক্টোবরে শুরু হচ্ছে বাঘ শুমারি

আগামী অক্টোবরে সুন্দরবনে আবারো শুরু হচ্ছে বাঘ শুমারি। ক্যামেরা ফাঁদ পদ্ধতিতে চার মাস চলবে এ কার্যক্রম। ব্যয় হবে ৬৬ কোটি টাকা। বন বিভাগ বলছে, সঠিক পরিসংখ্যানের মাধ্যমে দেশে বাঘের সঠিক সংখ্যা বলা সম্ভব।

সুন্দরবনে ক্যামেরা ফাঁদ পদ্ধতিতে সবশেষ বাঘ জরিপ হয়েছিল ২০১৮ সালে। সে বার শনাক্ত হয় ১১৪ টি বাঘ, তার মধ্যে পূর্ণ বয়স্ক ৬৩টি , ১৮ টি ১২ থেকে ১৪ মাস বয়সী এবং ৩৩ টি ছিলো শাবক।

আসন্ন অক্টোবর থেকে আবারও শুরু হতে যাচ্ছে বাঘ শুমারি। বন বিভাগ ও বিশেজ্ঞদের মতে, ক্যামেরা ফাঁদই সবচেয়ে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি। এবার চাঁদপাই, শরণখোলাসহ মোট চারটি রেঞ্জের ৪০ ভাগ জরিপের আওতায় আনা হবে। বসানো হবে ৩৫০টি ক্যামেরা। বাঘ বিশেষজ্ঞসহ জরিপ দলে থাকবেন ৪০ থেকে ৪৫ জন।

খুলনার পশ্চিম সুন্দরবন অঞ্চলের ডিএফও ড. আবু নাসের মহসিন বলেন, আমরা অভয়ারণ্যের ভেতর-বাহির দুই জাইয়গাতেই ব্লক নেবো। এতে বনের ভেতর-বাহির দুই জায়গাতেই বাঘেদের সংখ্যা কেমন তা আমরা বুঝতে পারবো।

বিশেষজ্ঞদের মতে, জরিপের পাশাপাশি বাঘের সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ জরুরি। বন বিভাগের যুক্তি, এজন্য দরকার সঠিক পরিকল্পনা, লাগবে সময়ও।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ওয়ালিউল ইসলাম বলেন, অভয়ারণ্যে বাঘ কতোটা নিরাপদে চলাফেরা করছে এটা জানা খুবই জরুরি। যদি জায়গাটা নিরাপদ থাকে, আর বংশ বিস্তারের অনুকূল পরিবেশ বাঘ পায় তাহলে অবশ্যই বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি সম্ভব।

এ প্রসঙ্গে খুলনাঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দে বলেন, যথাযথভাবে ইকোসিস্টেম সংরক্ষণ করতে পারলে প্রাকৃতিকভাবেই বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি সম্ভব।

করোনার কারণে গেলো দুই বছর বনে প্রবেশে ছিলো নিষেধাজ্ঞা। বেড়েছে মানুষের সচেতনতাও। যা বাঘের সংখ্যা বাড়াতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার বলেন, টিকে থাকার মতো খাবার, পরিবেশের নিশ্চয়তা না দেয়া গেলে সংখ্যা এমনিতেই কমে যাবে। মানুষ আগের থেকে সচেতন হয়েছে, আগে যা বুঝতো না সেগুলো এখন বোঝে।

এবারের বাঘ জরিপ চলবে অন্তত চার মাস। ছবি যাচাই বাছাইয়ে সময় লাগবে আরও ছয় মাস। তারপরই জানা যাবে বাঘের সংখ্যা।


/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply