রাশিয়ান ব্যবসার বিরুদ্ধে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা মস্কো সরকারের উপর কোনো প্রভাব ফেলতে পারে তা বিশ্বাস করা ‘বোকামি’ বলে উল্লেখ করেছেন রাশিয়ার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এবং নিরাপত্তা পরিষদের উপ-প্রধান দিমিত্রি মেদভেদেভ। শুক্রবার (২৫ মার্চ) এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করে আল জাজিরা ও রয়টার্স।
রাশিয়ার বার্তা সংস্থা আরআইএ-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মেদভেদেভ বলেন, পশ্চিমাদের দেয়া নিষেধাজ্ঞাগুলির কারণে জনগণের সাথে সরকারের অসন্তোষের সৃষ্টি হবে না। বরং রাশিয়ান সমাজকে তা আরও শক্ত বন্ধনে আবদ্ধ করবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি পুতিনের এক নির্দেশের পর ইউক্রেনে অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। অভিযান শুরুর পরপরই দেশটির ওপর নানা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া শুরু করে পশ্চিমা জোট। দেশটির ব্যাংক থেকে শুরু করে রফতানি পণ্য; অনেকগুলো খাতই আছে নিষেধাজ্ঞার আওতায়। নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছেন রুশ ধনকুবেররাও।
তবে পশ্চিমাদর দেয়া এসব নিষেধাজ্ঞায় রাশিয়ার কিছুই হবে না এমন বক্তব্য দিয়ে আসছে রুশ কর্তাব্যক্তিরা। রাশিয়ার গ্যাস ও তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ার ফলে অবশ্য বিপাকে পড়েছে ইউরোপীয় অনেক দেশই। কারণ তারা রাশিয়ার তেল-গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল। এরইমধ্যে বুধবার নতুন এক নিয়ম চালু করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বলেছেন, ইউরোপীয় দেশগুলো যদি রাশিয়া থেকে জ্বালানি কেনে তাহলে তাদের রাশিয়ান মুদ্রা রুবলে মূল্য পরিশোধ করতে হবে।
পুতিনের এমন ঘোষণার পরপরই ডলারের বিপরীতে বেড়েছে রুবলের দাম। এদিকে, ইউরোপের বাজারে পাইকারি গ্যাসের মূল্যও বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। মস্কোর এ সিদ্ধান্তকে চুক্তির লঙ্ঘন বলছে জার্মানিসহ ইউরোপের ক্রেতা দেশগুলো। তথ্য বলছে, ইউরোপের মোট জ্বালানি চাহিদার প্রায় ৪০ শতাংশের যোগানদাতা রাশিয়া।
জেডআই/
Leave a reply