যেভাবে যুদ্ধে অংশ নিচ্ছেন ইউক্রেনের অভিনয়শিল্পীরা

|

অভিনয়ের মঞ্চ ছেড়ে এবার রাঁধুনি হয়ে উঠেছেন ইউক্রেনের লভিভ অঞ্চলের অভিনয়শিল্পীরা। দেড় শতাধিক শিল্পী ও কলাকুশলী মিলে তৈরি করেছেন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। যুদ্ধের ময়দানে লড়াই করা সেনা আর শরণার্থীদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন খাবার। যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চালিয়ে যাবার আশাবাদ তাদের।

পেশাদার শেফ না হলেও দেশের প্রয়োজনে পুরোদস্তুর রাঁধুনি হয়ে উঠেছেন লভিভের দ্রোহোবিচ শহরের এসব বাসিন্দা। কিছুদিন আগেও অভিনয়ের মঞ্চ দাপিয়ে বেড়ালেও মাতৃভূমির প্রয়োজনে নিজ নিজ অবস্থান থেকে বাড়িয়েছেন সহায়তার হাত। ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর পর থেকে সেচ্ছ্বাসেবী হিসেবে কাজ করছেন এসব অভিনেতা, অভিনেত্রী ও কলাকুশলী। অস্ত্র হাতে সরাসরি রণাঙ্গণে না নামলেও রুশ সেনবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করা সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও শরণার্থীদের প্রতিদিন সরবরাহ করছেন খাবার।

অভিনেত্রী আলা স্কোনদিনা বললেন, মঞ্চে নানা চরিত্র ফুটিয়ে তোলা আমার কাজ। কথায় আছে যখন গুলির আওয়াজ কানে আসে তখন আর কোনো ভাবনা কাজ করে না। কিন্তু আমরা সে পথে হাঁটিনি। দেশের কঠিন সময়ে অস্ত্র হাতে রণাঙ্গণে না গেলেও স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে যতখানি সম্ভব মানুষের উপকার করার চেষ্টা করছি।

এখনও পর্যন্ত ১৫০ জন অভিনয় শিল্পী যোগ দিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবার এ কর্মসূচিতে। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে জমজমাট থিয়েটার আজ হয়ে উঠেছে পুরোদস্তুর রান্নাঘর।

মঞ্চ নাটক পরিচালক মাইকোলা নাতেনকো বললেন, যোদ্ধা না হয়েও আমরা যেন একসাথেই যুদ্ধ করছি। কাজ শুরুর পর থেকে ৩ হাজার পাউন্ডের বেশি মিটবল, ১৫০ কেজি মাংস, ৭০ কেজি স্যুপ, ৮০ কেজি মাছ ও আড়াই হাজার পিস প্যান কেক তৈরি করেছি। এখন যোদ্ধাদের আরও বেশি প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার সরবরাহের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।

তাদের তৈরি এসব পৌঁছে যাচ্ছে রাজধানী কিয়েভ রক্ষায় নিয়োজিত সেনাদের কাছে। দেশের এমন সংকটকালে কিছুটা হলেও উপকারে আসতে পেরে সন্তুষ্ট এসব মানুষ। শেষ পর্যন্ত এমন সহায়তা চালিয়ে যাবার আশাবাদও তাদের।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply