খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:
খাগড়াছড়ির রামগড়ে বালুবাহী ট্রাকের চাপায় মা ও মেয়ে নিহতের ঘটনার দুই দিনেও শনাক্ত হয়নি ঘাতক ট্রাক, ট্রাকের চালক ও হেল্পার। পুলিশ বলছে অভিযোগ না থাকায় তারা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না। এদিকে, নিহতের পরিবারকে লাখ টাকা দিয়ে স্থানীয়ভাবে সমঝোতা হওয়ায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ না থাকায় পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছেনা। তাছাড়া বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমঝোতা হয়েছে বলে ধারণা করছেন তারা।
আরও পড়ুন: বেপরোয়া ট্রাকের চাপায় প্রাণ গেল মা ও মেয়ের
রামগড় থানার ওসি মো. সামসুজ্জামান জানান, থানায় অভিযোগ দায়ের না হওয়ায় পুলিশ ঘটনাটি এড়িয়ে যাচ্ছে। তবে
পুলিশের তদন্ত চলছে। প্রাথমিকভাবে নিছক দুর্ঘটনা বলছেন ওসি। ঘাতক ট্রাক, গাড়ির চালকের কাগজপত্রের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেক গাড়ি ও চালকেরই কাগজপত্র থাকেনা।
এর আগে, গত রোববার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যা ৬ টার দিকে খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার তৈচালা এলাকায় বালুবাহী বেপরোয়া গতির ট্রাক বিপরীত দিক থেকে আসা একটি সিএনজিকে ধাক্কা দিলে সিএনজিতে থাকা এক মহিলা ও তার কন্যা শিশু সড়কে ছিটকে পড়ে। পরবর্তীতে বেপরোয়া গতির ট্রাকের চাপায় পিষ্ট হয়ে দুজনই ঘটনাস্থলে মারা যান। আহত হন সিএনজি চালকসহ আরও ৪ যাত্রী। নিহতরা হলেন, খাগড়াছড়ির রামগড়ের থলিবাড়ির সালেহ আহম্মদের স্ত্রী তাসলিমা বেগম (৩৫) ও তাদের মেয়ে তামান্না (২)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বালু ও ট্রাক মালিক প্রভাবশালী হওয়ায় বিষয়টি থানা পর্যন্ত গড়ায়নি। উপজেলা চেয়ারম্যান সহ একটি সিন্ডিকেট থাকায় ঘটনাটি তড়িঘড়ি করে লাখ টাকার বিনিময়ে ধামাচাপা দেয়া হয়েছে মামলার বিষয়ে।
এ বিষয়ে জানতে রামগড় উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্বপ্রদীপ কারবারীকে একাধিকবার ফোন দিলেও কোনো ধরণের সাড়া মেলেনি।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গেছে, ট্রাকে থাকা বালু উপজেলা চেয়ারম্যানের ছোট ভাইয়ের।
/এসএইচ
Leave a reply