হাইকোর্টে প্রতিবেদন দিয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) জানায় ফগার মেশিন, হ্যান্ড স্প্রে, ধুপ জ্বালিয়ে, ঝোপঝাড় ও পুকুর নালা পরিচ্ছন্ন করে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মশা নিধন করছে তারা। কিন্তু সরজমিনে বিমানবন্দরে গিয়ে দেখা গেল তাদের কার্যকর ব্যবস্থা কতটা অকার্যকর! মশার যন্ত্রণা আছে নিরবচ্ছিন্ন। অথচ আন্তর্জাতিক হেলথ রেগুলেশন অনুসারে বিমান বন্দরের ৫০০ গজের মধ্যে কোনো মশা থাকার কথা নয়।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মশার সীমাহীন যন্ত্রণা নিঃসন্দেহে লজ্জাজনক ও বিব্রতকর। নানা জল ঘোলা করে মশা ইস্যু এখন বিমানবন্দর থেকে আদালত চত্বরে। আদালতের নির্দেশে মার্চে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ একটি প্রতিবেদন দাখিল করে হাইকোর্টে।
প্রতিবেদনে বিমানবন্দরে মশার আবাসস্থল হিসেবে দেখানো হয় ভিভিআইপি টার্মিনাল, ওয়্যার হাউজ, বিমান রক্ষণাবেক্ষন ও ফ্লাইট ক্যাটারিং এলাকা এবং পরিত্যক্ত টায়ার ও ড্রাম। ফগার মেশিন, হ্যান্ড স্প্রে ও ধুপ জালানোর মাধ্যমে মশা নিধন কার্যক্রম চালানো হচ্ছে বলে প্রতিবেদন জানায় বিমান কর্তৃপক্ষ। সেইসাথে ঝোপঝাড় ও পুকুর নালা পরিচ্ছন্ন রাখার কথাও জানানো হয় বলে জানান রিটকারী আইনজীবী তানভির আহমেদ।
সরজমিনে শাহজালাল বিমানবন্দরে গিয়ে দেখা গেলো বেসরকারি বিমান কতৃপক্ষের কার্যকর ব্যবস্থা আদতে কতটা অকার্যকর। হাইকোর্টে দেয়া প্রতিবেদনে মশা নিধনে ভুরিভুরি কাজের বর্ননা থাকলেও আদতে মশা কমেনি মোটেও। বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এবারও দায় চাপালেন সিটি কর্পোরেশনে ওপর। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তৌহিদ-উল-আহসান বললেন, বিমানবন্দরের আলো দেখে দূর থেকে মশা আকৃষ্ট হয়। তাই মশা বেশি এখানে। তবে সিটি করপোরেশনের সদিচ্ছায় আশপাশের চার-পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় মাশা নিধন করা গেলে মশার উৎপাত থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে বলে জানালেন তিনি।
যদিও কীটতত্ত্ববিদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার জানালেন, আন্তর্জাতিক হেলথ রেগুলেশন অনুসারে বিমান বন্দরের ৫০০ গজের মধ্যে কোন মশা থাকার কথা নয়। এ ক্ষেত্রে অজুহাতেরও সুযোগই নেই।
বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষের এই প্রতিবেদনের ওপর হাইকোর্টের শুনানি হবে অবকাশকালীন ছুটির পর হাইকোর্টের নিয়মিত বেঞ্চে।
/এডব্লিউ
Leave a reply