পুলিশের বিরুদ্ধে ইভটিজিং ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ করেছেন তেজগাঁও কলেজের এক নারী শিক্ষক। রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগর থানায় তিনি এ অভিযোগ করেন। সনাতন ধর্মের কারণেই হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অভিযুক্ত পুলিশের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটিও চোরাই। ঘটনার সময় মিরপুরের বাসায় ছিলেন বলে দাবি মোটরসাইকেলের প্রকৃত মালিকের।
পেশায় শিক্ষক ড. লতা সমাদ্দার প্রতিদিনকার মতো শনিবার সকালে ক্লাস নিতে যান তেজগাঁও কলেজে। পথে কপালের টিপ নিয়ে এক পুলিশ সদস্য কটূক্তি করেন বলে অভিযোগ তার। বরাবরই প্রতিবাদপ্রবণ মানুষ, তাই এবারও কারণ জানতে চান। দাড়িওয়ালা, মধ্যবয়ষ্ক ও বেশভূষায় ভালো মনে হওয়া ব্যাক্তির আচরণে মুষড়ে পড়েন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন দায়িত্বরত পুলিশ সার্জেন্ট অভিজিৎসহ কয়েকজন। নাম জানতে না পারলেও মোটরসাইকেলের নম্বর মনে আছে লতার। সে অনুযায়ী বিআরটিএতে খোঁজ নিয়ে দুটি নিবন্ধন পাওয়া যায়। একটি ৮০ সিসির ২২ বছরের পুরনো অন্যটি ১৩৫ সিসির গাড়ি। বর্ণনার কাছাকাছি গাড়ির মালিক মিরপুরের বাসিন্দা ডিএম ইয়ারব আলী। কাজ করেন এয়ারপোর্টে। ২০১৬ সালে তার মোটরবাইকটি হারিয়ে যায় বলে থানায় সাধারণ ডায়েরিও করেছিলেন। ঘটনার দিন শনিবার সকালে নিজ বাসায় ছিলেন বলে দাবি করেন তিনি।
ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়ে শেরে-ই-বাংলা নগর থানায় অভিযোগ করেন লতা সমাদ্দার। শেরে বাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উৎপল বড়ুয়া জানান, অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি পুলিশ সদস্য কিনা, তার সন্ধান পাননি তারা। তবে তাকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিলেন তিনি।
/এডব্লিউ
Leave a reply