রুশ সেনারা সরে যাওয়ার সাথে সাথে স্পষ্ট হচ্ছে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের ক্ষয়ক্ষতির চিত্র। সড়কগুলোতে এখানে সেখানে পড়ে আছে সাধারণ মানুষের মরদেহ। চারিদিকে কেবলই ধ্বংসস্তূপ। রুশ সেনা প্রত্যাহার শুরু হওয়ায় গোটা রাজধানী পুনঃনিয়ন্ত্রণের দাবি করছে ইউক্রেন।
তিনদিন আগে বুশা ছেড়ে গেছে রুশ সেনারা। তবে বাতাসে এখনও বারুদের গন্ধ। শহরের পথে পথে রুশ বাহিনীর হামলার চিহ্ন।
বিধ্বস্ত নগরীর এখানে সেখানে পড়ে আছে মরদেহ। বাজারের ব্যাগটা এখনও পাশে পড়ে আছে। সাইকেল নিয়ে আর ঘরে ফেরা হয়নি কারও কারও। একজন কিছু লাশ দেখিয়ে বললেন, এই মানুষগুলো হেঁটে যাচ্ছিল। কোনো কারণ ছাড়াই গুলি করা হয় তাদের। এমনকি তাদের কাছে কিছু জানতেও চায়নি রুশ সেনারা।
রাস্তাঘাটে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে পরিত্যাক্ত সামরিক যান, ট্যাংক, মিসাইলসহ নানা অস্ত্র। মরদেহের গায়ে কোনো বিস্ফোরক রাখা কিনা তা নিয়েও আছে আতঙ্ক। রুশ হামলায় শহরটির অন্তত ৩ শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয় বলে দাবি মেয়রের। ২৮০ জনকে গণকবর দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
বুশার মেয়র আনাতোলি ফেদোরাক বলেন, ভয়াবহ সামরিক হামলা হয়েছে এখানে। একটা উদাহরণ দিতে পারি। পেছনে হাত বেঁধে রাস্তার ওপর সারিবদ্ধ করে দাঁড় করানো হয় অনেককে। মাথার পেছনে গুলি করে মারা হয়। আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী এই হত্যাগুলোর রেকর্ড আমরা রাখবো। ট্রাইব্যুনালে তুলে ধরবো।
বুশার মতো কিয়েভের অন্যান্য অঞ্চলেও ধ্বংসযজ্ঞের চিত্র স্পষ্ট। ইরপিনে কমপক্ষে ২শ বেসামরিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে- এমন তথ্য দিলো প্রশাসন। দুঃসহ এক মাসের স্মৃতি তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে বেঁচে যাওয়া বাসিন্দাদের।
গত দুই-তিনদিন ধরেই ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি প্রধান শহর থেকে ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে রুশ সেনারা। বিধ্বস্ত নগরগুলোতে নীল হলুদ পতাকা উড়িয়ে চলছে ইউক্রেন সেনাদের টহল।
/এডব্লিউ
Leave a reply