বেদে সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় আবাসন তৈরি হচ্ছে ঝিনাইদহের কালিগঞ্জে। মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে ৫৯টি পরিবারকে ঘর তৈরি করে দিচ্ছে সরকার। এর মাধ্যমে বেদে সম্প্রদায়ের থিতু হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হলো। অন্যান্য যেসব ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী আছে পর্যায়ক্রমে তাদের আবাসনও নিশ্চিত করতে চায় রাষ্ট্র।
বেদে সম্প্রদায়ের আদি বৃত্তিতে আগ্রহ কমেছে মানুষের, ফলস্বরূপ কমেছে তাদের আয় রোজগারও। হাতে গোনা যে কয়জন বাপ-দাদার পেশা আকড়ে আছেন তারাও অস্তিত্ব সংকটে। আগে থেকেই যাযাবর এই শ্রেণির মানুষ এখন আয় হারিয়ে পড়েছেন বিপাকে। তেমনই একজন জোবায়দা আক্তার। পাঁচ ছেলে মেয়ে নিয়ে ছোট একটি তাবুতে বাস জোবায়দা পরিবারের। তবে তার চার হাত বাই পাঁচ হাত ঘরের কষ্ট আর থাকছে না। প্রধানমন্ত্রীর উপহার পাচ্ছে পরিবারটি। নিজের ঘর হচ্ছে, ব্যাপারটি নিয়ে যারপর নাই খুশি জোবায়দা। জানালেন, যাযাবর জীবনে বাস্তবে নিজের ঘরে থাকার স্বপ্নপূরণ হবে, কখনও চিন্তাও করেননি তিনি।
মাইজদিয়া বাওরের পাশে চলছে উপহারের ঘর তৈরির কর্মযজ্ঞ। যেখানে জোবায়দার মতো ৫৯টি বেদে পরিবারের স্বপ্ন পূরণ হবে।
ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম বলেলেন, বেদে জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের জন্যই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আর কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া জেরিন বললেন, বেদেদের আবহমান জীবনযাত্রার সাথে প্রাসঙ্গিক করেই জলঘনিষ্ঠ এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া জানালেন, প্রায় ৩০০ লোকের বাসস্থান হবে এখানে। শুধু মাথা গোঁজার ঠাঁইই নয়, প্রকল্প এলাকায় থাকবে মসজিদ, কবরস্থান ও খেলার মাঠও।
আগামী জুন নাগাদ এসব ঘরের কাজ শেষ হবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
/এডব্লিউ
Leave a reply