তিন মাসের মধ্যে পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। কারণ হিসেবে নানা ধরনের আইনি ও পদ্ধতিগত জটিলতার কথা উল্লেখ করেছে ইলেকশন কমিশন অব পাকিস্তান (ইসিপি)। মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) ডনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
আগাম নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতির জন্য ছয় মাস মতো সময় লাগবে বলে ইসিপির এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ডনকে জানিয়েছে। ওই কর্মকর্তা বলেন, বিভিন্ন এলাকা, বিশেষ করে খাইবার পাখতুনখাওয়ায় নতুন করে নির্বাচনী সীমানা নির্ধারণ করতে হবে। কারণ, ২৬তম সংশোধনীর আওতায় খাইবার পাখতুনখাওয়ায় আসনসংখ্যা বেড়েছে। এছাড়া জেলা ও নির্বাচনী আসনের সঙ্গে সংগতি রেখে ভোটার তালিকা হালনাগাদের চ্যালেঞ্জও রয়েছে।
কী কী কাজের জন্য নির্বাচন আয়োজনে ছয় মাস দরকার তাও ব্যাখা করেছেন ইসিপির এ কর্মকর্তা। জানিয়েছেন, নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণে শুধু আপত্তিপত্র আহ্বানের জন্যই আইনে এক মাসের সময় দেয়া হয়েছে। এরপর নির্বাচনী এলাকার সীমা নির্ধারণ করতে আরও এক মাস সময় দিতে হবে। এছাড়া ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতেও সময়ের প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি। তারপর পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়া শেষ করতে তিন মাস সময় লাগবে বলে জানান।
পাকিস্তানের নির্বাচনী আইনের ১৪ ধারা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনকে ভোটের চার মাস আগে নির্বাচনী পরিকল্পনা ঘোষণা করতে হবে। এ প্রসঙ্গও উল্লেখ করে ইসিপির ওই কর্মকর্তা বলেন, নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে বেলুচিস্তানে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছ। পাঞ্জাব, সিন্ধু ও ইসলামাবাদেও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। এ অবস্থায় সাধারণ নির্বাচন আয়োজন করতে হলে স্থানীয় নির্বাচনের পরিকল্পনা বাতিল করতে হবে।
প্রসঙ্গত, রোববার (৩ এপ্রিল) ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব ডেপুটি স্পিকার খারিজ করে দেন। এরপর ইমরানের অনুরোধে পার্লামেন্ট ভেঙে দেন আরিফ আলভি। তবে এদিনই ডেপুটি স্পিকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে যাওয়ার ঘোষণা দেন পাক প্রধানমন্ত্রীর বিরোধী শিবির। এরমধ্যে ইমরান বিরোধী এ জোট শেহবাজ শরিফকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করে সরকার গঠনের ঘোষণা দিলে দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়।
/এমএন
Leave a reply