ইউক্রেনের বুশা শহরেই তিন শতাধিক মানুষকে বর্বর নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে। রুশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুললেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।
রাজধানী কিয়েভ ও আশপাশের এলাকা থেকে রুশ সেনারা সরে যাওয়ার পর স্পষ্ট হচ্ছে ধ্বংসযজ্ঞ। যাতে দেখা যাচ্ছে, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বুশা শহর। সোমবারই (৪ এপ্রিল) সেখানে পরিদর্শনে যান ভোলদেমির জেলেনস্কি। অভিযোগ তোলেন, যুদ্ধাপরাধ ঘটিয়েছে রাশিয়া। রয়েছে গণহত্যা-ধর্ষণের প্রমাণও। অবিলম্বে এই অপরাধের দায়ে পুতিন প্রশাসনকে আন্তর্জাতিক আদালতের মুখোমুখি করার দাবি তোলেন তিনি।
এর আগে বুশা শহরে স্বাধীন তদন্ত পরিচালনার নির্দেশ দেয় জাতিসংঘ। মঙ্গলবার নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশনে ভার্চুয়ালি অংশ নেয়ার কথা রয়েছে ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের। ধারণা করা হচ্ছে সেখানেই তিনি যুদ্ধাপরাধ-গণহত্যার তথ্যপ্রমাণ তুলে ধরবেন।
ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট বলেন, নিঃসন্দেহে এটা যুদ্ধাপরাধ, যাকে গণহত্যা হিসেবেও আখ্যা দিয়েছে গোটা বিশ্ব। কারণ, যতোই শহর দখলমুক্ত করছেন ইউক্রেনীয় সেনারা। স্পষ্ট হচ্ছে রুশ সেনাদের চালানো ধ্বংসযজ্ঞ। হাজারও মানুষকে নারকীয় অত্যাচারের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে। নারী-শিশুরা হয়েছে ধর্ষণের শিকার। এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়ার সাথে সমঝোতা আলোচনা চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব বলেও মন্তব্য করেন জেলেনস্কি।
/এডব্লিউ
Leave a reply