কোনদিকে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কার রাজনীতি?

|

শ্রীলঙ্কা গার্ডিয়ানের ইলাস্ট্রেশন।

অস্তিত্ব সংকটে শ্রীলঙ্কার সরকার। একদিকে পদত্যাগে রাজি নন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। তবে ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ মুখপাত্ররা জানিয়েছেন, কেউ পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারলে, সরকার গঠনের সুযোগ দেয়া হবে। অন্যদিকে, তার প্রস্তাবিত সর্বদলীয় সরকার গঠনে নারাজ বিরোধী জোট। সবশেষ জোট সরকার থেকে সরে দাঁড়িয়েছে এসএলএফপি। পদত্যাগ করেছেন পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকারও। এসব টানাপোড়েনের মাঝে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে অর্থনৈতিক সংকটে ক্ষুব্ধ মানুষ।

জরুরি অবস্থার মধ্যেই অগ্নিগর্ভ শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বো। সোমবারও (৪ এপ্রিল) প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর দফতর ঘেরাও করেন ক্ষুব্ধ লঙ্কানরা। শ্লোগান তোলেন সরকার পতনের। একটাই দাবি, পরিবারতন্ত্রের ঘেরাটোপ থেকে বেরিয়ে আসুক দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। মন্ত্রিসভায় রদবদল ঘটানোই যথেষ্ট নয়। দেশের অর্থনৈতিক সংকট এবং দুর্নীতির জন্য সরকারকে জবাবদিহি করতে হবে। লঙ্কানরা জানতে চায়, জনতার পয়সা কোথায় গেলো। দুর্নীতিবাজদের আবারও ক্ষমতায় বসাতে নারাজ। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি চায় না তারা।

এর আগেই, মন্ত্রিসভায় ৪ জনের নিয়োগ নিশ্চিত করেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। একইসাথে বিরোধী জোটকে প্রস্তাব দেন ঐকমত্যের সরকার গঠনের। শর্ত দেন ২২৫ আসনের পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ ১১৩ এমপি জোটাতে পারলেই, পালাবদল ঘটবে সরকারে। যদিও এই প্রস্তাব মানেনি বিরোধীরা।

শ্রীলঙ্কান বিরোধী নেতা সজিথ প্রেমাদাসা বলেন, সরকারের বিকল্প বলুন অথবা, প্রধান বিরোধী দল দুই ভাবেই আমরা শ্রীলঙ্কানদের প্রতিনিধিত্ব করি। তাই জনতাকে উপেক্ষা করে সর্বদলীয় সরকার গঠনে আমরা সম্মত নই। কোনো পরিস্থিতিতেই দুর্নীতিগ্রস্তদের সাথে ক্ষমতায় যাবো না।

কয়েক মাস ধরেই ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে শ্রীলঙ্কা। দেশটিতে তলানিতে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ, পিষ্ট ঋণের ভারে। ওষুধ আর চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে মঙ্গলবারই দেশটিতে ঘোষিত হলো জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতি।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply