ভারতের পাঠ্যবইয়ে ‘যৌতুক প্রথার সুফল’!

|

ছবি: প্রতীকী

ভারতে নার্সিংয়ের পাঠ্যবইয়ের একটি পাতার ছবি ঘিরে শোরগোল পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। শিব সেনা নেত্রী ও রাজ্যসভার সংসদ সদস্য প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী দাবি তুলেছেন, অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট বইটি বাতিল করা হোক। খবর সংবাদ প্রতিদিনের।

খবরে বলা হয়, বইটি নার্সদের জন্য লিখিত সমাজবিদ্যার একটি বই। যেটি লিখেছেন টি কে ইন্দ্রাণী। বইয়ের মলাটে দাবি করা হয়েছে, ইন্ডিয়ান নার্সিং কাউন্সিলের সিলেবাস অনুযায়ীই নাকি বইটি লিখিত! সেখানেই রীতিমতো ফলাও করে ছাপা হয়েছে ‘যৌতুক প্রথার সুফল’ শীর্ষক একটি অংশ।

সেখানে বলা হয়েছে, নতুন সংসারকে সাজিয়ে তুলতে যৌতুক প্রথা অত্যন্ত জরুরি। বালিশ, বিছানা, পাখা, টিভি, রেফ্রিজারেটর, বাসনকোসনের মতো নানা সরঞ্জাম এমনকি যানবাহনও দেশের সর্বত্র পণের সময় দেয়া হয় বলেও দাবি করা হয়েছে ওই লেখায়।

পাশাপাশি এটাও বলা হয়েছে, বাবার সম্পত্তির একাংশ এভাবে যৌতুকের মাধ্যমেই পেয়ে যান মেয়েরা। যৌতুকের টাকা যাতে কম দিতে হয়, সেই কারণেই অনেকে মেয়েদের পড়াশোনা করান। এতে পরোক্ষে নারীশিক্ষারই প্রসার হয়, এমন দাবিও করেছেন লেখিকা। তবে সবথেকে বিপজ্জনক সম্ভবত শেষের কথাটি। সেখানে বলা হয়েছে, কুৎসিত মেয়েদের কুৎসিত কিংবা সুদর্শন ছেলেদের সঙ্গে বিয়ে দেয়া সম্ভব যদি যৌতুক আকর্ষণীয় হয়।

আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টুইটের তথ্য অনুযায়ী বিতর্কিত বইটির নাম ‘টেক্সটবুক অব সোশিওলজি ফর নার্সেস’। নীচে উল্লিখিত- ‘ইন্ডিয়ান নার্সিং কাউন্সিলের পাঠ্যক্রম মেনে লেখা’। ৪ বছর আগে প্রথম প্রকাশিত হয় বইটি। বিক্রি হয় বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। সেখান থেকে জানা গেছে, বিএসসি নার্সিং দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য সেটি লেখা। ছবি ভাইরাল হওয়ার পরে প্রচুর লোক ওয়েবসাইটগুলিতে গিয়েও সমালোচনা করে আসছেন।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply