একটি নতুন নির্বাচনই হতে পারে পাকিস্তানের রাজনৈতিক সংকটের সমাধান। তবে নিশ্চিত করতে হবে সব দলের অংশগ্রহণ। এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বিরোধীদের অভিযোগ, ক্ষমতার অপব্যবহার করে সংবিধান লঙ্ঘন করছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
দিন যতো গড়াচ্ছে ততোই ঘোলাটে হচ্ছে পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি। সোমবার প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থনে ইসলামাবাদের রাস্তায় নামে হাজারও মানুষ। বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ, ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন ইমরান খান। দেশে অস্থিরতা তৈরি এবং অভ্যুত্থানের জন্য সমর্থকদের রাস্তায় নামিয়েছেন তিনি। দেশের অর্থনৈতিক সংকট ঠেকাতে আদালতের হস্তক্ষেপ চান সরকার বিরোধীরা।
পাকিস্তানের প্রধান বিরোধী দলের নেতা শাহবাজ শরিফ বলছেন, ইমরান খান এবং তার সমর্থকরা সংবিধান লঙ্ঘন করছে। অনাস্থা প্রস্তাবের যে সিদ্ধান্ত ছিল তার ওপরও ক্ষমতা প্রয়োগ করা হয়েছে। পাকিস্তানের গণতন্ত্র ধ্বংস করে ফেলা হচ্ছে। আমরা কখনও তা বসে বসে দেখবো না। এখনই আদালতের চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ বলেও মনে করেন তিনি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাজহার আব্বাস নতুন করে এই রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য দায়ী করেন দেশটির ডেপুটি স্পিকারকে। তিনি বলেন, দ্রুত এর সমাধান চাইলে সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে একটি নতুন নির্বাচন দেয়া উচিত। কারণ পাকিস্তানের বর্তমান রাজনৈতিতে বিরোধীদল অন্যতম ফ্যাক্ট। তাদের কোনোভাবেই এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।
প্রসঙ্গত, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী থাকছেন ইমরান খান। অবশ্য অন্তর্বর্তী প্রধানের নাম চেয়ে দুই দলের কাছেই চিঠি পাঠিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। শাহবাজ শরিফ সেটি নাকচ করলেও, সাবেক বিচারপতি গুলজার আহমেদের নাম প্রস্তাব করেছেন ইমরান খান।
/এডব্লিউ
Leave a reply