ডারবান টেস্টের আম্পায়ারিং ও প্রোটিয়াদের স্লেজিং নিয়ে আইসিসির কাছে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। প্রোটিয়াদের ‘মাত্রাতিরিক্ত’ স্লেজিংয়ের ব্যাপারে অভিযোগ করা হবে; এবং মাঠে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের বিভিন্ন অভিযোগ দুই অন ফিল্ড আম্পায়ার উপেক্ষা করেছে বলেও মনে করে বিসিবি। ম্যাচের একাধিক ঘটনায় প্রতীয়মান হয় যে, অন ফিল্ড আম্পায়ার মারাইস ইরাসমাস ও আদ্রিয়ান হোল্ডস্টক বাংলাদেশের বিভিন্ন অভিযোগ আমলে নেননি।
দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংসে বেশ কয়েকবার এলবিডব্লিউয়ের আবেদন করে বাংলাদেশের বোলাররা, বিশেষ করে চতুর্থ দিনের ২য় সেশনে এর সংখ্যা ছিল বেশি। ডিন এলগারের প্যাডে বল লাগলে টাইগারদের আবেদনে সাড়া দেননি ইরাসমাস। রিভিউ নিয়ে দেখা যায়, বল স্ট্যাম্পে আঘাত করতো। তবে অন ফিল্ড ডিসিশন নট আউট হওয়ায় বেঁচে যান এলগার।
এরপর সারেল আরউইকে দেয়া আদ্রিয়ান হোল্ডস্টকের নট আউট সিদ্ধান্তকে পাল্টাতে পেরেছে বাংলাদেশ। ক্রিকইনফোর ধারাভাষ্যেও বলা হয়, খোলা চোখেই যা পরিষ্কার আউট বলে মনে হয়েছে, এমন সমস্বরে আবেদনেও মুখে তা নট আউট দেয়ার সিদ্ধান্ত খুবই বিস্ময়কর!
এরপর, খালেদ আহমেদের বলে কিগান পিটারসেনের এলবিডব্লিউয়ের আবেদনেও সাড়া দেয়নি আম্পায়ার। বাংলাদেশও রিভিউ নেয়নি। তবে রিপ্লেতে দেখা যায়, রিভিউ নিলে লাভটা বাংলাদেশেরই হতো।
তবে ম্যাচে উত্তাপ ছড়ানো মুহূর্ত আসে তার পরেই। এবাদত হোসেনের বলে ব্যাক ড্রাইভ করেন এলগার। বল ধরেই এবাদত থ্রো করেন ব্যাটারের স্ট্যাম্পের দিকে, যা গিয়ে লাগে এলগারের গায়ে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ও হয় তখন। আম্পায়ার হোল্ডস্টকের হস্তক্ষেপে শান্ত হয় পরিস্থিতি।
বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসের ইঙ্গিত অবশ্য টেস্ট শুরু করায় বিলম্ব নিয়ে। তিনি বলেন, এই টেস্টে পক্ষপাতহীন আম্পায়ারিং হয়নি। খেলা শুরু করতে দেরি করা হয়েছে। তাতে আমরা কন্ডিশনের সুবিধা নিতে পারিনি। খেলা আগে শেষ হলে পরদিনের খেলা শুরুও হয় নির্ধারিত সময়ের আগে। এবার তা হয়নি।
তবে আম্পায়ারদের কাছ থেকে টাইগাররা যেমন আচরণ পেয়েছেন, তাতেও ভাবিত জালাল ইউনুস। তিনি বলেন, মাহমুদুল জয় ব্যাট করতে আসার পর তাকে ঘিরে ধরে কিছু আজেবাজে কথা বলে প্রোটিয়া ক্রিকেটাররা। জুনিয়র ক্রিকেটার বলে জবাব দেয়নি জয়। তবে আম্পায়ার এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেননি। বরং, স্লেজিংয়ের অভিযোগ নিয়ে তাদের কাছে গেলে উল্টো অভিযোগদাতাকেই সতর্ক করেছে দুই আম্পায়ার।
জালাল ইউনুস বলেন, খেলার মাঠে স্লেজিং দুই পক্ষই করেছে। তবে প্রোটিয়ারাই এটি শুরু করে মাত্রাতিরিক্ত জায়গায় নিয়ে গেছে। আমাদের অভিযোগ গ্রহণই করেনি অন ফিল্ড আম্পায়াররা। আমরা আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত অবশ্যই মেনে নেবো। তবে নিরপেক্ষ আম্পায়ার ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত আইসিসির।
আরও পড়ুন: ডারবানের আম্পায়ারিং নিয়ে আইসিসির কাছে অভিযোগ করবে বাংলাদেশ
এম ই/
Leave a reply