আন্ডারওয়ার্ল্ডের ব্যক্তিদের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ানোয় খুন হন নায়ক সোহেল: র‍্যাব

|

গ্রেফতারকৃত আষিশ রায় চৌধুরী এবং নিহত নায়ক সোহেল।

আলোচিত ব্যক্তি আজিজ মোহাম্মাদ ভাইয়ের সাথে হাতাহাতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীকে হত্যা করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে র‍্যাব। বুধবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ব্রিফিংয়ে এ কথা জানানো হয়।

ব্রিফিংয়ে বলা হয়, বনানী ট্রাম্পস ক্লাব নিয়ে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সাথে সোহেল চৌধুরীর বিভিন্ন ইস্যুতে দ্বন্দ্ব দেখা দিলে পরে আজিজের পরিকল্পনায় সোহেল চৌধুরীকে হত্যা করা হয়। হত্যা পরিকল্পনায় গ্রেফতার আশিষ রায় চৌধুরীও ছিলেন বলে জানায় র‍্যাব।

এর আগে, ২৪ বছর আগে চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীকে বনানীর ট্রাম্প ক্লাবের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয়। হত্যার ঘটনায় মামলার আসামি করা হয় বনানী ট্রাম্পস ক্লাবের যৌথ মালিক আশিষ রায় চৌধুরী ও বান্টি ইসলামকে। মালিকানায় না থাকলেও ক্লাবে নিয়মিত যাতায়াত করা আজিজ মোহাম্মদ ভাইও সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার আসামি। বর্তমানে আজিজ ও বান্টি পলাতক। তবে, মঙ্গলবার রাতে এ মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি আশিষ রায় চৌধুরীকে গুলশানের বাসা থেকে বিপুল মাদকদ্রব্যসহ গ্রেফতার করে র‍্যাব।

সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব জানায়, বনানী ট্রাম্পস ক্লাবে অশ্লিলতা ও অসামাজিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানান নায়ক সোহেল চৌধুরী। এই ক্লাবটিতেই আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সাথে সোহেল চৌধুরীর হাতাহাতি হয়। পরে আজিজ মোহাম্মদ ভাই, বান্টি ইসলাম ও আশিষ রায় চৌধুরী সোহেল চৌধুরীকে খুন করতে সন্ত্রাসী ইমনকে নির্দেশ দেন। ১৯৯৮ সালে ইমন তার বাহিনী নিয়ে সোহেলকে হত্যা করে জানায় র‍্যাব।

ব্রিফিংয়ে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ক্লাবটিতে আন্ডারওয়ার্ল্ড ও আন্ডারগ্রাউন্ডের যারা ছিলেন তাদের বেশ আনাগোনা ছিল। আজিজ মোহাম্মদ ভাই, যাকে সবাই ডন নামে চেনে তারও নানা অপকর্ম ওই ক্লাব থেকে পরিচালিত হতো। এই কার্যক্রমগুলো বাধাগ্রস্থ হচ্ছিল বলে নায়ক সোহেলকে একটা শিক্ষা দেয়ার বা হত্যা করার একটি পরিকল্পনা নেয়া হয়েছিল।

তবে হত্যার আসামি হয়েও দুই যুগ ধরে আশিষ চৌধুরীকে কেনো গ্রেফতার করা হয়নি, কীভাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তিনি চাকরি করেছেন এসব প্রশ্ন এড়িয়ে যান র‍্যাব কর্মকর্তা। সোহেল চৌধুরী হত্যার পেছনে আর কোনো কারণ আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply