নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডের দুই যুগ পর ফের আলোচনায় আশি ও নব্বই দশকের জনপ্রিয় অভিনেতা সোহেল চৌধুরী। ১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর বনানীর ১৭ নম্বর রোডের আবেদীন টাওয়ারে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ঘটনার এতো বছর পর এসে মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) এ হত্যাকাণ্ডের মূল আসামির একজন আশীষ রায় চৌধুরীকে গ্রেফতার করে র্যাব। তবে এ দিনটি দেখে যেতে পারেননি সাবেক স্ত্রী দিতি। ২০১৬ সালেই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তার। তবে সোহেল-দিতির দুই সন্তান শাফায়েত চৌধুরী ও লামিয়া চৌধুরী এখনও বাবা-মায়ের স্মৃতিচিহ্ন আঁকড়ে আছেন।
গণমাধ্যমে খুব বেশি দেখা যায় না সোহেল ও দিতির সন্তান শাফায়েত ও লামিয়াকে। শাফায়েত অবশ্য বর্তমানে দেশের বাইরে আছেন। কানাডার রিয়ারসন ইউনিভার্সিটি থেকে পড়াশোনা শেষ করে তিনি নেদাল্যান্ডসের আমস্টারডামে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি বিপণন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে নেদাল্যান্ডসের এক তরুণীর সাথে সংসার বাঁধেন শাফায়েত। এখন স্থায়ীভাবে আমস্টারডামেই বসবাস করছেন তিনি।
অন্যদিকে মেয়ে লামিয়া আছেন ঢাকাতেই। কানাডার টরন্টো ফিল্ম স্কুল থেকে পড়াশোনা শেষ করেছেন তিনি। পরে ঢাকায় এসে চলচ্চিত্র নির্মাণে মনোযোগী হয়েছিলেন লামিয়া। দিতির মৃত্যুর পর ২০১৬ সালে তার ইচ্ছা অনুযায়ী ‘দুই পুতুল’ শিরোনামে একটি নাটক নির্মাণ করেন লামিয়া। তবে এরপর আর তাকে নিয়মিত পাওয়া যায়নি। বর্তমানে একটি ফেইসবুক পেইজে ফাস্টফুড সরবরাহ কার্যক্রম দেখভাল করছেন লামিয়া।
উল্লেখ্য, ১৯৮৬ সালে সোহেল চৌধুরীর প্রথম অভিনীত চলচ্চিত্র মুক্তি পায়। ১৯৮৪ সালে এফডিসির ‘নতুন মুখের সন্ধান’ কর্মসূচির মাধ্যমে দেশীয় চলচ্চিত্রে প্রবেশ করেন সোহেল। সেখানেই দেশীয় চলচ্চিত্র খুঁজে পেয়েছিল অভিনেত্রী দিতিকেও। পর্দায় জুটি বেঁধে অভিনয়ের পর ব্যক্তিগত জীবনেও জুটি বাঁধেন এই তারকা। তাদের সংসারে জন্ম নেয় লামিয়া ও শাফায়েত। তবে নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময়ে এসে বিচ্ছেদ হয় সোহেল-দিতির।
একের পর এক হিট সিনেমা দিয়ে দিতি ঢালিউডে তার আসন পাকাপোক্ত করে নিয়েছিলেন। তবে সোহেল হত্যাকাণ্ডের শিকার হলে অকালেই হারিয়ে যান চলচ্চিত্র থেকে। অবশ্য সোহেল চৌধুরীর মৃত্যুর বেশ অনেক দিন পর দিতি বিয়ে করেছিলেন চলচ্চিত্র তারকা ইলিয়াস কাঞ্চনকে। তবে সেই বিয়েও বেশি দিন টেকেনি।
এসজেড/
Leave a reply