আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ নির্মাণ কাজের অগ্রগতিতে রেলমন্ত্রীর অসন্তোষ

|

আখাউড়া প্রতিনিধি:

আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণ কাজের অগ্রগতি দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। বলেন, ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে যদি আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়, বা থেমে যায় তাহলে চুক্তিভঙ্গের অভিযোগ এনে নতুন ঠিকাদার নিয়োগ করা হবে।

বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী শিবনগর এলাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামীকে সঙ্গে নিয়ে রেল প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন শেষে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে এ নির্দেশনা দেন তিনি।

এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রেলপথ মন্ত্রী বলেন, আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পটি ভারতের আর্থিক সহায়তায় বাস্তবায়ন হচ্ছে। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী প্রকল্পটি উদ্বোধন করেছেন। এটি উভয় দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমরা দুই দেশই হতাশ। প্রকল্পের কাজটি শেষ করতে পারবে কিনা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বলেছে, আগামী জুন মাসের মধ্যে রেলট্রেক বসানোর কাজ শেষ করতে পারবে। সিগন্যালিং, স্টেশন বিল্ডিংসহ অন্যান্য কাজ শেষ করতে হয়তো আর একটু সময় লাগবে।

প্রকল্প বিলম্ব হওয়ার ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বলছে কোভিডের কারণেই কাজ শেষ করতে পারেনি- এটি অযৌক্তিকভাবে ফেলে দিতে পারছি না। অবস্থার প্রেক্ষিতে আমাদের এটি গ্রহণ করতে হচ্ছে। আগামী জুন পর্যন্ত সময় দেয়া আছে। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি যা দেখছি- আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেও যদি কাজ শেষ করতে পারে তাহলেও আমরা খুশি থাকবো।

তিনি আরও বলেন, আশা করি ঠিকাদার আমাদের উদ্বেগের বিষয়টি বুঝবেন। যদি দেখি ওনার কোনো গাফিলতির কারণে কাজটা থেমে আছে, তাহলে বাধ্য হবো চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ এনে নতুন ঠিকাদার নিয়োগ করতে।

বিএসএফ এর বাধায় কসবা ও মন্দাবাগ রেলওয়ে স্টেশনের কাজ বন্ধ রয়েছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ভারত বাংলাদেশ বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ। ছোটখাটো যে সমস্যা আছে, তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে পারবো। এটা কোনো বাধা হবে না।

এ সময় ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, এটি একটি বড় প্রকল্প। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী প্রকল্পটির উচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছেন। আমরা বাংলাদেশ রেলওয়ে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ রাখছি। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী এ প্রকল্পটির ব্যাপারে আমাকে ফোন করেছেন। আমরা এ প্রকল্পটির ব্যাপারে খুব চাপে আছি।

এ সময় বাংলাদেশ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (কাঠামো) কামরুল আহসান, রেলমন্ত্রীর একান্ত সচিব আতিকুর রহমান, আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কান্ট্রি ডিরেক্টর শারজ শার্মা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply