ইমরান খানের সামনে রাজনীতির নয়া ইনিংস

|

ভাঙবেন, তবু মচকাবেন না— এ নীতিতে বরাবরই অটল ইমরান খান। রাজনীতিতে টিকে থাকতে কম কাঠখড় পোড়াতে হয়নি পাকিস্তানের সদ্য সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে। কিন্তু সংবিধান আর আদালতের মারপ্যাচে হলো না শেষ রক্ষা।

সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ইমরান খানের সামনে রাজনীতির নতুন ইনিংস। সাংবিধানিক মারপ্যাচে সংসদের সংখ্যালঘু দলে পরিণত হতে যাচ্ছে, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। তার সমর্থকরা বলছেন, বিরোধী নেতা হিসেবেও প্রয়োজন ইমরানের সক্রিয়-শক্তিশালী ভূমিকা। কারণ, ২০২৩ সালেই জাতীয় নির্বাচন। দেশ আর জনতার কল্যাণে কাজ করলে জনগণই ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনবে ইমরানকে।

দীর্ঘদিনের সংকট থেকে দেশকে উদ্ধার করতে না পারলেও; ইমরানের নানা উদ্যোগের সাক্ষী জনতা। এমনকি চিরবৈরী রাষ্ট্রের প্রতিও বাড়িয়েছিলেন বন্ধুত্বের হাত। চেয়েছেন, এশিয়া অঞ্চলে ফিরুক পাকিস্তানের পুরানো ঐতিহ্য। নতুনত্বের সম্ভাবনা থাকায় অতীত শাসনে ফিরতে রাজি নয় দেশবাসী।

ক্রিকেটার খোলস ছেড়ে ১৯৯৬ সালে ইমরান খান ঢোকেন রাজনীতিতে। তবে, ১৭ বছর ছিলেন পার্শ্বচরিত্রেই। ২০১৩ সালের নির্বাচনে প্রথম জাতীয়ভাবে আলোচনায় আসে পিটিআই, আবির্ভূত হয় তৃতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে। বছর না গড়াতেই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ভোট কারচুপির অভিযোগ তোলেন ইমরান। দেশজুড়ে বিক্ষোভের মুখে বিদায় হন নওয়াজ শরিফ। অবশেষে ২০১৮ সালে আসেন ক্ষমতায়।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply