প্রত্যাশার চাপ বেশি থাকায় দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টেস্ট সিরিজে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। দেশে ফিরে বিমানবন্দরে এমন মন্তব্য করেছেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। তার মতে, টেস্টে এখনও দুর্বল এক দল বাংলাদেশ, নিউজিল্যান্ডের মাটিতে পাওয়া সাফল্য ছিল শুধুই চমক। সেই সাথে, স্পিনে আরও বেশি মনোযোগ দেয়ার তাগিদ দিয়েছেন মুমিনুল।
বুধবার (১৩ এপ্রিল) সকালে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে বাংলাদেশ টেস্ট দলের প্রথম অংশকে সাথে নিয়ে দেশে ফিরেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথম জয় দিয়ে বছর শুরু করেছিল মুমিনুলরা। ৪ মাসের ব্যবধানে আরও একটা সিরিজ খেলে দেখা মিললো মুদ্রার উল্টোপিঠের। দক্ষিণ আফ্রিকায় দুই টেস্টে বাজে হারে প্রশ্নের সম্মুখে গোটা দল। প্রথম টেস্টে ৪ দিন লড়াই করলেও বাকিটা ছিল দৃষ্টিকটু। উন্নতির জায়গা অনেক দেখছেন অধিনায়ক। মুমিনুল বলেন, আপনাদের প্রত্যাশা বোধহয় বেশি ছিল। আপনারা হয়তো ভেবেছিলেন একটি টেস্ট জিতে আমরা টেস্টের ১/২ নম্বর দল হয়ে গিয়েছি। এটা আপনাদের বুঝতে হবে যে, ওয়ানডেতে বাংলাদেশ যেমন স্থিতিশীল দল, টেস্টে কিন্তু তেমনটা না।
নিজেদের কথিত শক্তির জায়গা স্পিন। যেখানেই ধরাশায়ী হতে হয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যান কিংবা বোলারদের। ডারবানে প্রথম টেস্টে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্তে সমালোচিত হন মুমিনুল। ব্যাটিং ব্যর্থতার দায় নিজের কাঁধেই নিলেন তিনি। মুমিনুল বলেন, অধিনায়ক হিসেবে সকল সিদ্ধান্ত আমিই নিই। আমার ওপর কেউ জোর খাটায় না। তাছাড়া অধিনায়কত্ব এমন জিনিস যে, চাপ নিলে উন্নতির জায়গাও বেড়ে যায়।
প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির মধ্যে বিস্তর ফারাক ছিল দক্ষিণ আফ্রিকায় দুই টেস্টের উইকেটে। হোম কন্ডিশনে স্লো টার্নিং উইকেটে খেলে অভ্যস্ত হলেও দক্ষিণ আফ্রিকায় টার্নিং উইকেট জন্য প্রস্তুত ছিল না বাংলাদেশ। দ্রুত মানিয়ে নিতে না পারাকেই ব্যর্থতা বলছেন অধিনায়ক। মুমিনুল বলেন, এই পর্যায়ের ক্রিকেটে এমন অপ্রত্যাশিত অনেক কিছুর সম্মুখীন হতে হয়। সেই নতুন পরিস্থিতির সাথে দ্রুতই মানিয়ে নিতে হবে। কিন্তু এবার আমরা তেমনটা পারিনি।
স্রোতের বিপরীতে প্রাপ্তি হিসেবে এই সিরিজে আছে তাইজুলের ফর্মে ফেরা আর মাহমুদুল জয়ের পারফরমেন্স। তবে ধারাবাহিক সুযোগ পাওয়া সাদমান ব্যর্থতায়ও ধারাবাহিক। এসব প্রসঙ্গে মুমিনুল বলেন, বাংলাদেশ ক্রিকেটের আগামীর সুপারস্টার হয়তো জয়। অন্যদিকে, সাদমানের ব্যাপারটি তাইজুলের থেকে ভিন্ন। আমরা কিন্তু বিপিএল খেলি, মাঝেমধ্যে প্রিমিয়ার লিগ খেলি। সাদমান কিন্তু এসবের কিছুই খেলে না। কোনো টুর্নামেন্টই খেলে না সে। এ সময়ে সাদমানকে আমাদের সমর্থন দেয়া উচিত। আর তাইজুলের ক্ষেত্রেও, প্রায় ২ মাস বিরতি দিয়ে টেস্ট খেলা আর সেখানে পারফর্ম করা দুই-ই অত্যন্ত কঠিন কাজ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে খেলে যাওয়া পাকিস্তানি স্পিনারের মৃত্যু
এম ই/
Leave a reply