উৎপাদনের রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড হলেও রমজানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। ঢাকার বাইরে দিনে ৩/৪ ঘণ্টা পর্যন্ত থাকছে না বিদ্যুৎ। ভুক্তভোগীরা বলছেন, সেহরি-ইফতার ও তারাবিহর সময় লোডশেডিং হচ্ছে হরহামেশাই। বিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছে, জ্বালানি সংকটে ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন। অবশ্য শিল্প কারখানায় গ্যাস রেশনিংয়ের ফলে উৎপাদন বেড়েছে তাই পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তবে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে আরও সময় লাগবে বলে জানান তিনি।
রমজানে পাল্টে যায় বিদ্যুৎ ব্যবহারের সময়। সেহরি, ইফতার, তারাবিতে একযোগে সারাদেশে বাড়ে বিদ্যুৎ ব্যবহার। বাজার-ঘাট, শপিংমলেও কেনাবেচার সময় বৃদ্ধি পায়। এসবের সাথে যুক্ত হয়েছে গ্রীষ্মের কাঠফাটা গরম। তার ওপর সেচ মৌসুম। সব মিলিয়ে বছরের সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ ব্যবহার হচ্ছে এ সময়টাতেই। সরকারি হিসেবে এখন চাহিদা সাড়ে ১৪ হাজার মেগাওয়াটের বেশি। আর গড় উৎপাদন ৫০০ মেগাওয়াটের মত কম। অনিবার্য ফলাফল, লোডশেডিং। সাথে আছে সঞ্চালন ও বিতরণ লাইনের বিভ্রাট।
রোজা রেখে সেহরি বা ইফতারের সময় লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ ঢাকার বাইরে বিশেষ করে গ্রামের মানুষ। সরকারি হিসেবে উৎপাদন সক্ষমতা ২২ হাজার মেগাওয়াটের বেশি। তারপরও কেন বিদ্যুৎ থাকে না, তা নিয়ে ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরবর্তী জ্বালানির বিশ্ববাজার অস্থির। এ অবস্থায় কাঙ্খিত পরিমাণ গ্যাস আমদানি ব্যাহত হচ্ছে। তারপরও শিল্পে সরবরাহ কমিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে সরকার।
সংকট কাটাতে গ্রাহকদেরও সাশ্রয়ী হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
/এডব্লিউ
Leave a reply