রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: বিশ্বজুড়ে সার সংকট

|

ছবি: সংগৃহীত

রুশ-ইউক্রেন সংঘাতের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে সারের সংকট। বিশ্বে ব্যবহৃত মোট সারের ২৫ শতাংশই সরবরাহ করে রাশিয়া। ফলে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশটি থেকে সার সরবরাহ বন্ধ থাকায় এর প্রভাব পড়ছে খাদ্য উৎপাদনে।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি বিষয়ক সংস্থা বলছে, এরই মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে খাদ্যদ্রব্যের মূল্য বেড়েছে, যা গেল ৩২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

বার্তা সংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সার ব্যবহারে বিশ্বে চতুর্থ অবস্থান ব্রাজিলের। দেশটিতে মোট ব্যবহৃত সারের ৮৫ শতাংশই আমদানি করে। যার বড় অংশই আসে রাশিয়া থেকে। রুশ-ইউক্রেন সংঘাতের কারণে সার আমদানি বন্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন দেশটির কৃষিজীবীরা।

ব্রাজিলের কৃষক এডমিলসন রিকলি বলেন, রাশিয়া এবং বেলারুশ থেকে সার আসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমরা চাষাবাদ করতে পারছি না। যদি দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থা না নেয়া হয় তাহলে স্রেফ না খেয়ে মরতে হবে আমাদের।

বিশ্বব্যাপী উৎপাদিত সারের ২৫ শতাংশই সরবরাহ করে রাশিয়া। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় এখন তাও বন্ধ। যার প্রভাব পড়ছে বৈশ্বিক কৃষি ব্যবস্থাপনায়। বিশেষ করে সার সংকটে উন্নয়নশীল এবং অনুন্নত দেশগুলোয় ব্যাহত হচ্ছে শস্য উৎপাদন। কৃষিজীবীরা বলছেন, শস্য উৎপাদন খরচ বেড়েছে কয়েকগুণ।

কেনিয়ার খামারি মনিকা কারিউকি বলেন, আমার পুরো খামারের জন্য আগে সার কিনতে লাগতো ১৭৫ ডলার। কিন্তু এখন লাগছে ৮৭৫ ডলার। কারণ বাজারে সার নেই। ফলে আমার শস্যের দামও বেড়ে যাচ্ছে। এখন এগুলো বাজারে বিক্রি করাই কঠিন।

কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির গবেষক ড. মাইকেল পুমা বলেন, একেতো করোনা মহামারির জন্য বহু মানুষ কর্মহীন হয়েছে। যার ফলে বেড়েছে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা। অন্যদিকে বিশ্বব্যাপী সার সরবরাহ বন্ধ থাকার কারণে খাদ্য উৎপাদন যদি কম হয়, তাহলে ভয়াবহ খাদ্য সংকট সৃষ্টি হবে বিশ্বজুড়ে।

বৈশ্বিক গম রফতানির ৩০ শতাংশই হয় দেশ দুটি থেকে। এমনকি মোট সয়াবিনের ৮০ শতাংশই সরবরাহ করে ইউক্রেন ও রাশিয়া।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply