মানিকগঞ্জের ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ফরহাদ হোসেন হত্যারহস্যের কোনো কূলকিনারা হয়নি এক মাসেও। কারা, কেন হত্যা করেছে সাটুরিয়া উপজেলার বরাঈদ ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ফরহাদকে তা এখনও উদঘাটন করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ নিয়ে চরম উদ্বেগ আর আতঙ্ক বিরাজ করছে স্বজনদের মধ্যে। আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসীও।
ফরহাদ হোসেন হত্যার মাস পেরোলেও কান্না থামেনি তার পরিবারে। নির্বাচনী পোস্টার হাতে নিয়ে ফরহাদের মা আর স্ত্রীর বিলাপ যে কারো চোখকেই আর্দ্র করবে। এদিকে খুনের মোটিভ এখনও জানতে পারেনি পুলিশ। পরিবারের দাবি, তিনবারের ইউপি সদস্য ফরহাদের জনপ্রিয়তাই কাল হয়েছে। খুনিদের বাঁচাতে একটি প্রভাবশালী মহল পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ছে বলেও মনে করছে তারা।
স্থানীয়রা বলছেন, মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বিদ্যুতের চোরাই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা এবং নির্বাচনে একাধিকবার জয়লাভসহ নানা কারণে টার্গেটে পরিণত হন ফরহাদ। স্থানীয় বরাঈদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গাজী মোহাম্মদ আব্দুল হাই বলছেন, ফরহাদ যেদিন খুন হন সেদিন অপরিচিত কয়েকজনকে দেখা গেছে এলাকায়। তাদের চিহিৃত করা গেলেই রহস্যের জট খুলে যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মামলার অগ্রগতি নিয়ে জানতে চাইলে মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান জানালেন, এখনও বের করা যায়নি কে বা কারা ঠিক কী কারণে হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে। তবে যেহেতু এটি একটি বিশেষায়িত মামলা, ফলে অধিকতর তদন্তের জন্য মামলাটি পিবিআই অথবা সিআইডিতে হস্তান্তর করা হচ্ছে বলে জানালেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ মার্চ প্রতিবেশীর বাড়ির পাশের একটি ধানখেত থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তার স্ত্রী বাদি হয়ে একটি মামলা করেন।
/এডব্লিউ
Leave a reply