রোহিঙ্গা হত্যাযজ্ঞ নিয়ে উত্তপ্ত যখন পুরো বিশ্ব, সেসময় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে মিয়ানমার নেত্রী অং সান সুচি বললেন, রোহিঙ্গা মুসলিমদের বাংলাদেশে পালানোর কারণ সর্ম্পকে কিছুই জানে না তার সরকার। শুধু তাই নয়, ৩০ মিনিটের ভাষণে মাত্র একবার ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি ব্যবহার করেন তিনি। দম্ভ করে বলেন, রাখাইন সহিংসতা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণে ভীত নয় মিয়ানমার।
প্রায় এক মাস ধরে রোহিঙ্গা হত্যা-নিপীড়নের স্পষ্ট প্রমাণ দিচ্ছে আর্ন্তজাতিক গণমাধ্যম। পুরো বিশ্বজুড়ে চলছে এ নিয়ে তোলপাড়। জাতিসংঘ বলেছে, এটি পরিকল্পিত জাতিনিধন। অথচ, রাখাইন পরিস্থিতি নিয়ে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা জানান, মুসলিমরা কেনো পালাচ্ছে- তা তার জানা নেই।
রোহিঙ্গা নিধনের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন- ৫ সেপ্টেম্বরের পর, রাখাইনে কোনো ধরনের সংঘাত ঘটেনি। হয়নি জাতিগত নিধনের উদ্দেশ্যে সেনা অভিযানও। বরং, বাংলাদেশে কেনো মুসলিমরা পালাচ্ছে সে ব্যাপারেই উগ্বিগ্ন তারা। কেনো লাখো মানুষ সেদেশে আশ্রয় নিচ্ছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের দেশে ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে স্পষ্ট কিছুই বলেননি সুচি। তবে, বাংলাদেশে আশ্রিতদের পরিচয় যাচাই-বাছাইয়ের উদ্যেগ গ্রহণের আশ্বাস দিয়ে তিনি জানিয়েছেন- পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত রাখাইনে বজায় থাকবে সেনা তৎপরতা।
Leave a reply