দূর্বত্তের গুলিতে নিহত রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমার শেষকৃত্যে যাওয়ার সময় গুলিতে অন্তত ৫ জন নিহত হয়েছে। আহত কমপক্ষে ১০ জন। বাড়তে পারে হতাহতের সংখ্যা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, জেএসএস’র এমএম লারমা গ্রুপের সহ সভাপতি শক্তিমান চাকমার শেষকৃত্যে যোগ দিতে নানিয়ারচরের পুকুরমরা ছড়া এলাকায় আসছিলেন তার সমর্থকরা। দুপুরে টেংরাছড়ি এলাকায় তার অনুসারীদের একটি গাড়ি পৌঁছালে অতর্কিত গুলি চালায় দুর্বৃত্তরা। এতে ঘটনাস্থলেই তিন জন নিহত হয়। আহতদের হাসপাতালে নেয়া হলে মারা যায় আরও দুজন। গুরুতর আহত কয়েকজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে আনা হচ্ছে।
এ ঘটনায় ইউপিডিএফকে দায়ি করেছে জেএসএস। ঘটনাস্থলের পথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী। নিহতরা হলেন, সুজন চাকমা, কনক চাকমা, চপন যতি, সেতু লাল ও সজীব। এরমধ্যে চপন যতি ইউপিডিএফ সংস্কার গ্রুপের প্রধান।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা এগারোটা দিকে শক্তিমান চাকমাকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। শক্তিমান চাকমা জেএসএস-এর সংস্কারপস্থী অংশের সহ-সভাপতি।
পুলিশ জানায়, নিহত শক্তিমান চাকমা উপজেলা পরিষদ চত্বরের বাসভবন থেকে মোটরসাইকেলে করে পরিষদ কার্যালয়ে যাওয়ার পথে হামলার শিকার হন। দুই অস্ত্রধারী গুলি ছুড়লে তিনি মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যান। এ সময় একজন অস্ত্রধারী এগিয়ে গিয়ে তাকে খুব কাছ থেকে গুলি করে পালিয়ে যায়।
আহত শক্তিমান চাকমাকে উদ্ধার করে নানিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। কারা কী কারণে শক্তিমান চাকমাকে হত্যা করেছে সে সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার পর পুরো এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। সহিংসতা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পুরো এলাকা ঘিরে রেখেছেন।
পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক দল জনসংহতি সমিতি থেকে বেরিয়ে গিয়ে বিদ্রোহীরা জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা) নামে নতুন দল গঠন করেছিলেন। এর অন্যতম প্রভাবশালী নেতা ছিলেন শক্তিমান চাকমা।
এদিকে রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমা খুনের ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। আটকও হয়নি কেউ।
তবে পুলিশ জানিয়েছে, হত্যা রহস্য উন্মোচনের চেষ্টা চলছে। অভিযান চলছে জড়িতদের গ্রেফতারে।
Leave a reply