ঈদে বাড়ি যাবেন কিন্তু মূল্যবান স্বর্ণালঙ্কার কোথায় রাখবেন? যারা প্রতি বছর উৎসবে বাড়ি যান, তাদের মধ্যেও এ নিয়ে কাজ করে দ্বিধা। ডিএমপি কমিশনারের পরামর্শ, এসব সামগ্রী আত্মীয়ের বাসায় রেখে যাওয়া ভালো বিকল্প হতে পারে। এটিকে ব্যক্তি সচেতনতা হিসেবে দেখেন কেউ কেউ। অবশ্য কেউ কেউ মনে করেন, বাসাবাড়িতে চুরি-ডাকাতি ঠেকাতে না পারা পুলিশ প্রশাসনের অক্ষমতা।
প্রতি বছর ঈদে গ্রামে যান গৃহিনী আফরোজা পারভীন তিশা। এবার যাচ্ছেন না তিনি। জানালেন, গ্রামে যাওয়ার সময় মূল্যবান সামগ্রী রেখে যেতেন নিকট আত্মীয়ের বাসায়। ঘনিষ্ঠ কেউ দামি জিনিস তার কাছে রাখতে চাইলে কোনো সমস্যা নেই তার। তবে গৃহকর্ত্রী মনোয়ারা বেগমের মনোভাব একেবারে ভিন্ন। অন্যের দামি জিনিসের দায়িত্ব নেয়ার ঝুঁকি নিতে চান না তিনি।
সোমবার ডিএমপির অপরাধ বিষয়ক মাসিক সভায় আলোচনা হয় ঈদে খালি বাসাবাড়ির নিরাপত্তা নিয়ে। অঘটন এড়াতে বাড়ির নিরাপত্তা প্রহরীদের সাথে কথা বলে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নিতে বলেন কমিশনার। প্রয়োজনে দামি স্বর্ণালঙ্কার আত্মীয়-স্বজনের কাছে রেখে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। মূল্যবান সামগ্রীর নিরাপত্তায় এমন চর্চা বহুদিনের। তাই ডিএমপি কমিশনারের পরামর্শকে ইতিবাচকভাবেই দেখেন কেউ কেউ। তবে কেউ কেউ দেখেন অক্ষমতা হিসেবে। তারা বলছেন, জনগণের নিরাপত্তা দেয়া পুলিশের দায়িত্ব, তারা দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ বলেই এমন কথা বলছে।
সাবেক আইজিপি নুরুল আনোয়ার বলছেন, করোনার দুবছর পর এবার বহু মানুষ ঈদে ঢাকার বাইরে যাবে, এর ফলে বাড়তে পারে অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি ও চুরি-ডাকাতির মত অপরাধ। তবে প্রতিবেশী ও বাড়ির নিরাপত্তারক্ষীদের সতর্কতায় নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে এসব অপরাধ। উৎসব নিরাপদ করতে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের অতিরিক্ত দায়িত্বসচেতন থাকার পরামর্শও দেন সাবেক আইজিপি।
/এডব্লিউ
Leave a reply