প্রেমিক যুগলের আত্মহত্যার চেষ্টা, থানায় অভিযোগ

|

ফাইল ছবি

ফরিদপুর প্রতিনিধি:

ফরিদপুরের নগরকান্দায় প্রেমিক যুগলের আত্মহত্যা চেষ্টার খবর পাওয়া গেছে। তারা দুই জনই বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদিকে, শনিবার প্রেমিকার পিতা বাদী হয়ে প্রেমিকের বিরুদ্ধে নগরকান্দা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কোদালিয়া শহীদনগর ইউনিয়নের ছোট পাইককান্দী গ্রামের আব্দুল হামিদ শেখের ছেলে ভ্যান চালক ইখলাছ শেখের (১৭) সাথে একই গ্রামের আজম মুন্সীর মাদরাসা পড়ুয়া মেয়ে সুমি আক্তার (১৫) এর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। দুজনে বিয়ে করে সংসারের স্বপ্নও দেখছিল। কিন্তু মেয়ের অভিভাবকেরা রাজি না হওয়ায় ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় সুমি আক্তার নিজ ঘরে কিটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। আত্মহত্যা চেষ্টা বুঝতে পেরে তার পরিবারের সদস্যরা তাকে নগরকান্দা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎক তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।

এদিকে, প্রেমিকার আত্মহত্যার খবর পেয়ে প্রেমিক ইখলাছ পরদিন সকালে নিজ ঘরে আড়ার সঙ্গে গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরিবারের সদস্যরা টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে দুজনেই ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এ ঘটনায় মেয়েকে বিষ পানে বাধ্য করানো হয়েছে বলে দাবি করে প্রেমিকার বাবা আজম মুন্সী ইখলাছের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

সুমির চাচী রোজিনা আক্তার বলেন, ইখলাছ সুমিকে মাঝে মাঝে বিরক্ত করতো। ঘটনার দিন সন্ধ্যার পর ইখলাছ আমাদের বাড়িতে আসে এবং সুমিকে বিয়ে করতে চায়। সুমির মা এবং আমি তাকে বুঝাই এবং বলি ও যেন সুমিকে আর কোনো দিন বিরক্ত না করে। এর মাঝেই সুমি ঘরে গিয়ে বিষ পান করে।

সুমির বাবা আজম মুন্সী বলেন, ইখলাছ আমার মেয়েকে প্রায়শই বিরক্ত করতো। আমি ওর অভিভাবকদের নিকট নালিশ করেছিলাম। ক্ষিপ্ত হয়ে ঘটনার দিন আমার বাড়িতে এসে ইখলাছ হুমকি ধামকি দেয়। এই ভয়ে আমার মেয়ে বিষ পান করে।

নগরকান্দা থানার শহীদনগর ইউনিয়ন বিটের বিট কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক আরিফ হোসেন বলেন, আজম মুন্সী আত্মহত্যায় প্ররোচনার কথা উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। প্রাথমিক তদন্তে দু’জনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল এটার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply