ঈদের কেনাবেচা এবার দেড় লাখ কোটি টাকার বেশি

|

ঈদ উপলক্ষে মানুষের কেনাকাটার ধুম।

ঈদ ঘিরে শহর থেকে গ্রাম সবখানেই বেড়েছে লেনদেন, প্রাণচাঞ্চল্য, হচ্ছে কাঙ্ক্ষিত বিক্রিবাট্টা। রমজান মাসে ২৫ থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে এ বছর। সব মিলিয়ে ঈদের অর্থনীতির আকার দেড় লাখ কোটি টাকার বেশি। বিশ্লেষকরা বলছেন, করোনার কারণে মানুষের হাতে পর্যাপ্ত টাকা নেই। তাই সাধ এবং সাধ্যের মধ্যে সমন্বয় করেই হচ্ছে কেনাকাটা।

বলা হয়, রোজার মাসে অর্থাৎ ঈদকে ঘিরে বড় অংকের লেনদেন হয়। বিক্রি হয় পোশাক-প্রসাধনী। চাঙ্গা হয় অর্থনীতি। এবার পরিস্থিতি কেমন? এই প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা আমাদের বেচাবিক্রির লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি আছি। ক্রেতারাও এবার বেশ আগ্রহী, বিক্রেতারাও তাদের যা আছে সব নিয়েই বসেছে। তাই এবারের ঈদে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

হেলাল উদ্দিন জানান, দেশের অন্তত ৪০ শতাংশ মানুষও যদি রোজা রাখেন এবং তাদের ইফতারে নূন্যতম ৩০ টাকা করে ধরা হলেও ৭-৮ হাজার কোটি টাকার কেনাবেচা হবে। ৩৫-৪০ হাজার কোটি টাকা যাকাত থেকে আসে। এছাড়া সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যে বোনাস দেয়া হয় এবং রেমিট্যান্স মিলিয়ে আরও ২০-২২ হাজার কোটি টাকা সেখান থেকেও আসে। ফলে সব মিলিয়ে ঈদে ১ লক্ষ ৫০ থেকে ৫৫ হাজার কোটি টাকার একটি বিশাল বাজার এটি।

ঈদ এলে সব শ্রেণির মানুষই কিছু না কিছু কেনেন। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় চলাচলে চাঙ্গা হয় পরিবহন খাত, ট্রেন, উড়োজাহাজ খাত। ঈদকে কেন্দ্র করে দেশ বিদেশেই পর্যটন কেন্দ্রগুলোতেও বাড়ছে ভিড়। করোনার ভয়াবহতা কমলেও মানুষের হাতে অর্থ নেই। তাই ঈদকে কেন্দ্র করে সাধ এবং সাধ্যের সমন্বয় করছেন নিম্ন এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণীর বিপুল সংখ্যাক মানুষ।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply