রাঙ্গামাটির দুর্গম পাহাড়ি গ্রামগুলোতে দেখা দিয়েছে খাবার পানির তীব্র সংকট। বছরে ৬ মাস গিরি ঝর্ণাগুলোতে পানি থাকলেও শুষ্ক মৌসুমে তা মিলছে না। কূপ খনন করে স্থানীয়রা গোসল ও খাবারের পানির সংকট মেটাচ্ছেন।
শুষ্ক মৌসুমে প্রত্যন্ত পাহাড়ি গ্রামগুলোতে দেখা যায় খাবার ও গোসলের পানির তীব্র সংকট। কাপ্তাইয়ের ওয়াগ্গা, মুরালীপাড়া, নোয়াপাড়া, কুকিমারাসহ কয়েকটি এলাকার বাসিন্দাদের এখন একমাত্র ভরসা কৃত্রিম কূপ। অকেজো হয়ে পড়ে আছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিফতরের অর্থায়নে বসানো ডিপ টিউবওয়েলগুলো।
একইভাবে বাঘাইছড়ির সাজেক, বিলাইছড়ি, জুড়াছড়ি, বরকলসহ সদর এলাকার প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে চলছে পানির জন্য হাহাকার। এমন সংকটে খাবার পানির জন্য গ্রাম থেকে গ্রাম ছুটে বেড়াচ্ছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও স্বীকার করেছেন পানি সংকটের কথা। এজন্য দায়ী করেছেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরকে। স্থানীয়দের অভিযোগ, পাথর উজাড় ও নির্বিচারের বনাঞ্চল ধব্বংসের কারণে দেখা দিয়েছে পানির সংকট। সমস্যা সমাধানে সরকারকে প্রকল্প নেয়ার আহ্বান জানান সাবেক জেলা প্রশাসন চেয়ারম্যান ওয়াগ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অংলাচিং মারমা।
তবে এ বিষয়ে রাঙামাটি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদফরের নির্বাহী প্রকৌশলী কথা বলতে না চাইলেও রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী দাবি করেছেন, সংকট নিরসনে কাজ চলছে। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণের কথাও জানিয়েছেন তিনি।
/এডব্লিউ
Leave a reply