জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন আদেশের বিরুদ্ধে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিল এবং আপিল বিভাগের স্থগিতাদেশ তুলে নেয়া সংক্রান্ত বিএনপি নেত্রীর আবেদনের ওপর দ্বিতীয় দিনের শুনানি শেষ। আদেশ আগামী মঙ্গলবার।
এর আগে সকালে বিএনপি আইনজীবী ও দুদকের আইনজীবীরা শুনানিতে অংশগ্রহণ করে। এসময় অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এই রোগ তার আগেও ছিল, এই রোগ নিয়েই রাজনীতি করেছেন খালেদা। এটা কোন সমস্যা হতে পারে না। সুতরাং এই অসুস্থতার গ্রাউন্ডে জামিন হতে পারে না।
বিএনপি আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য দিনে দিনে খারাপ হচ্ছে; যেটা নিজে কারাগারে খালেদা জিয়াকে দেখে এসেছি, অথচ অ্যাটর্নি জেনারেল বললেন তিনি ভাল আছেন, রেস্টে আছেন। এটা দুঃখজনক।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চে বুধবার সকাল সোয়া নয়টায় এ শুনানি শুরু হয়।
শুরুতেই বক্তব্য উপস্থাপন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী। এর পর জামিন বহাল রাখার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন ও জয়নুল আবেদীন।
বিএনপির আইনজীবীদের মধ্যে মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, মাহবুবউদ্দিন খোকন ও সানউল্লাহ মিয়াও শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া বিএনপি নেতাদের মধ্যে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খানকে আদালতে দেখা গেছে।
প্রসঙ্গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৫-এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামানের আদালত খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। একই আদালত খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয় আসামির সবাইকে মোট ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা ৮০ পয়সা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন।
Leave a reply