ইউক্রেনের পথে প্রান্তরে রুশ মাইন, মৃত্যু ঝুঁকিতে লাখো মানুষ

|

ছবি: সংগৃহীত

রুশ বাহিনীর পুঁতে রাখা মাইন আর অবিস্ফোরিত বোমা বড় ধরণের ঝুঁকিতে পরিণত হয়েছে ইউক্রেনের বেসামরিক নাগরিকদের জন্য। আগ্রাসন চালানোর পর বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সরে যাওয়ার সময় এসব মাইন পুঁতে রাখা হয়। এসব মাইন আর বিমান হামলা কিংবা গোলাবর্ষণের পর অবিস্ফোরিত বোমা নিষ্ক্রিয় করতে এগিয়ে এসেছে বিশেষজ্ঞদের একটি দল। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা নিষ্ক্রিয় করছে এসব বোমা।

ইউক্রেনের বরোদিয়াঙ্কার কিছু শস্য ক্ষেত যেন মৃত্যুপুরি। কিছুদূর পরপরই মিলছে মাইন কিংবা অবিস্ফোরিত বোমা। রুশ বাহিনী এলাকাটি ছেড়ে যাওয়ার আগে বিভিন্ন স্থানে পুঁতে রেখেছে মাইন। এছাড়াও বিমান হামলার পর বিস্ফোরিত হয়নি এমন বোমা কিংবা কামানের গোলাও ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এসব স্থানে। জলাধার, শস্যখেত, সড়কসহ বিভিন্ন স্থান থেকে অবিস্ফোরিত এসব বোমা উদ্ধারের পর সেগুলো নিষ্ক্রিয় করা হয়।

ইউক্রেনের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলের সদস্য ওলেকজান্দার পেনচ্যাক বলেন, আগে যেখানে সপ্তাহে ২-৩টি বোমা পেতাম, সেখানে এখন দিনে ৭০০টির মতো গোলা, বোমা কিংবা মাইন পাই। গড়ে যা প্রায় ১ টনের মতো বিস্ফোরক।

বিস্ফোরিত হয়েছে এমন বোমা কিংবা ক্ষেপণাস্ত্রের অংশবিশেষ বাধা সৃষ্টি করছে সড়কে যান চলাচলে। সেসব সরানোর কাজও করছেন বিশেষজ্ঞদের এই দল।

বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলের আরেক সদস্য ভ্ল্যাদিস্ল্যাভ ভিলকাল বলেন, প্রতিমুহুর্তে মৃত্যুর ঝুকি নিয়ে এই কাজ করতে হয়। কিন্তু আমরা তো থেকে যেতে পারি না। কারণ আমাদের প্রচেষ্টার জন্যই আরেকজন মানুষ নিরাপদে বাচতে পারে।

বরোদিয়াঙ্কার এক বাসিন্দা বলেন, কয়েকদিন আগে হাটতে বের হয়ে দেখি সামনে গোল থালার মতো কি যেন পড়ে রয়েছে। আমি সাথে সাথে বোমা নিষ্ক্রিকারী দলকে খবর দেই। তারা এসে জানায় সেটি একটি মাইন। ঈশ্বর তাদের মঙ্গল করুন।

উদ্যোক্তারা বলছেন, অবিস্ফোরিত এসব বোমা এবং মাইন সরাতে দ্রুত আন্তর্জাতিক সহায়তার কোনো বিকল্প নেই।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply