বাংলাদেশে বহুদলীয় রাজনীতি আছে, সবাই রাজনীতি করছে। সভা-সমাবেশ সবাই করছে। কিন্তু নৈরাজ্য করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে, অরাজকতা সহ্য করা হবে না, বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
মঙ্গলবার (২৪ মে) দুপুরে সচিবালয়ে বেসরকারি মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনবার্সন কেন্দ্রগুলোর মান উন্নয়নের জন্য আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের সভা, সমাবেশ করার অধিকার আছে। কিন্তু সভা সমাবেশের নামে কেউ অরাজকতা করার চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তা অবশ্যই প্রতিরোধ করবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ছাত্রদলের সমাবেশে হামলা হয়েছে বলে মির্জা ফখরুল যা বলেছেন তা রাজনৈতিক বক্তব্য, এসব কথার কোনো ভিত্তি নাই।
মাদকাসক্তি বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কেউ মাদকাসক্ত হলে জীবনের সব কিছু হারিয়ে ফেলে। তাই মাদক প্রতিরোধ ও নিরাময়ে প্রধানমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশনা আছে। মাদকের চাহিদা নিরসন ও সাপ্লাই বন্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের সাথে আলাপ আলোচনার কারণে ফেন্সিডিলের সাপ্লাই কমেছে। তবে ভয়ংকরভাবে ইয়াবা আসছে। তরুণরা এতে বেশি আসক্ত হচ্ছে। এ সুম্য, সমাজের সবাইকে নিয়েই মাদক প্রতিরোধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, দেশে বর্তমানে ৩৬২টি মাদক নিরাময় কেন্দ্র আছে। এর মধ্যে অনেকগুলো মান সম্পন্ন নয়। তবে কিছু নিরাময় কেন্দ্র বেশ ভাল কাজ করছে।
চেক প্রদান অনুষ্ঠানে ১৫টি প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক অনুদান দেয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো, আহসানিয়া মিশন, আপন, মুক্তি, প্রমিসেস, রিলাইফ, ক্রীড়া, সেফহোম, বিকন, আমার হোম, ঘেরা, বারাকা, ইয়ুথ ফার্স্ট, প্রয়াস প্রভৃতি।
প্রসঙ্গত, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের তথ্য মতে দেশে ৩৬ লাখ মাদকাসক্ত রয়েছে। প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশি। মাদকে শুধু জনপ্রতিনিধিরা জড়িত না, সব পেশার মানুষই এর সাথে জড়িত। মদের বিষয়ে যারা ক্রাইটেরিয়া মেনে চলবে তারা লাইসেন্স পাবে।
Leave a reply