আটলান্টিক মহাসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে বারমুডা, ফ্লোরিডা এবং পুয়ের্তো রিকোর মাঝামাঝি জায়গা বারমুডা ট্রায়াঙ্গল। এই জায়গাটিকে ঘিরে রহস্য আর অলৌকিক ঘটনার গল্পের শেষ নেই। এখান থেকে নাকি কোনো জাহাজ বা বিমান আর ফিরে আসতে পারে না। এমনটি হয়েছে বহুবার। তবে এই ভয় কাটাতে ক্রুজ সংস্থা নরওয়েজিয়ান প্রাইমা লাইনার বিতর্কিত বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে ভ্রমণের ট্যুর প্যাকেজ নিয়ে হাজির। সংস্থাটির দাবি, এখান থেকে অক্ষতভাবে ফিরে আসার শতভাগ নিশ্চয়তা আছে। আর ফিরতে না পারলে যাত্রীদের পুরো অর্থ ফেরত দেয়া হবে। জাহাজ বিষয়ক ওয়েবসাইট মেরিন সাইটে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
জ্যামিতিকভাবে ক্রিকোণ এই এলাকাটির আয়তন ৫ লাখ কিলোমিটার। ‘ডেভিলস ট্রায়াঙ্গল’ নামেও পরিচিত এলাকাটি। লোকমুখে প্রচলিত আছে, সেখানে গেলে নাকি কোনো জাহাজ আর ফিরতে পারে না মানুষের মাঝে। উধাও হয়ে যায় রাতারাতি। এমনকি এই অঞ্চলের উপর দিয়েও নাকি কোনো বিমান যায় না। গেলেও দুর্ঘটনায় পতিত হয়, নয়তো উধাও হয়। এখন পর্যন্ত মোট ৭৫টি বিমান এবং কয়েক হাজার জাহাজ নাকি এমন করেই পৃথিবীর বুক থেকে হারিয়ে গেছে। যেগুলোর কোনো চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায়নি। এমন হাজারো গল্প ও গা শিওরে ওঠা কাহিনী প্রচলিত আছে জায়গাটিকে ঘিরে। তবে নরওয়েজিয়ান প্রাইমা লাইনারের দাবি, এ সবই গুজব ও মানুষের কল্পনা।
ক্রুজ সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই জায়গাটিকে নিয়ে যেসব কাহিনী শোনা যায় তার বেশির ভাগই মিথ্যা। বাকি কিছু ঘটনা ঘটেছে খারাপ আবহাওয়ার কারণে এবং কাকতালীয়ভাবে। তাই এই জায়গার দুর্নাম ঘোচাতে এবার একটি গোটা ট্যুর প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সংস্থাটি। দু’দিনের এই সফরে যাত্রীপিছু খরচ হবে ১ হাজার ৪৫০ পাউন্ড যা, বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ লাখ টাকারও বেশি।
বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে গেলে কেনো এমন দুর্ঘটনায় পতিত হয় বিমান ও জাহাজ তার একাধিক কারণ সামনে আনা হয়েছে। কেউ বলে এখানে অলৌকিক কোনো শক্তি আছে। কেউ বলে এই ত্রিকোণ স্থানটি শয়তানের আবাসস্থল। তবে আরেকটি মত পাওয়া যায়, যেখানে বলা হয়েছে এই অঞ্চলের নিচে হয়তো ভীষণ শক্তিশালী কোনো চৌম্বক ক্ষেত্র বা বস্তু আছে, যা বিমান বা জাহাজকে আকর্ষণ করে টেনে পানির নিচে নিয়ে যায়। তবে এই ক্রুজ সংস্থা বলছে, এসবের কিছুই নেই সেখানে। তারা যাত্রীদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনবেন। সেখান থেকে সম্পূর্ণ অক্ষত অবস্থায় ফেরত আসার শতভাগ নিশ্চয়তা দিয়েছে সংস্থাটি। না হলে যাত্রীদের পুরো টাকাই ফেরত দেয়া হবে। কিন্তু এখন প্রশ্ন হলো, যাত্রীরা যদি না ফিরতেই পারে, তাহলে টাকা ফেরত নেবে কে?
এসজেড/
Leave a reply