সম্প্রতি কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ খরায় বিপর্যস্ত সোমালিয়া। খাদ্যাভাব ও অপুষ্টিতে ভুগে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে শিশু মৃত্যুর হার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সবচেয়ে বেশিু ঝুঁকিতে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুরা। এখনই পদক্ষেপ না নিলে এবছরই সাড়ে তিন লাখ শিশু মৃত্যুর শঙ্কা জানিয়েছে জাতিসংঘ।
এদিকে চরম খরায় বিনষ্ট হচ্ছে মাঠের ফসল। অস্বাভাবিক হারে মৃত্যু হচ্ছে গবাদি পশুরও। চরম অনিশ্চয়তায় এলাকা ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে কৃষিনির্ভর গ্রামীণ পরিবারগুলো। অনেকেরই মারা গেছে গবাদি পশু। মূলত কয়েক দশক ধরেই খরা, দুর্ভিক্ষের মতো দুর্যোগের সাথে লড়ছে দেশটি। তার মধ্যে মহামারির প্রকোপ ও রুশ-ইউক্রেন সংকট দুর্ভোগ বাড়িয়েছে কয়েকগুণ। পরিস্থিতি মোকাবেলায় অন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে বিভিন্ন সংস্থা।
পূর্ব আফ্রিকা বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির উপ-পরিচালক রুকিয়া ইয়াকুব বলছেন, ২০১১ সাল থেকে টানা চতুর্থবার খরা দেখছি। এখানকার চলমান সহিংসতা, মহামারি, এখন আবার রুশ-ইউক্রেন সংকট, সব মিলিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম দ্বিগুণ বেড়েছে। মানুষগুলোকে বাঁচাতে আমাদের এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন অর্থ।
চরম অভাব অনটনে সোমালিয়ায় এরই মধ্যে স্কুল ছাড়তে বাধ্য হয়েছে ৭০ শতাংশ শিশু। বেড়েছে বাল্যবিবাহের সংখ্যাও।
/এডব্লিউ
Leave a reply