শরীয়তপুরের প্রত্যন্ত পল্লি স্বর্ণঘোষ। এই গ্রামের ছেলে মোহন। স্বর্ণপাচার চক্র থেকে ফিরতে চান স্বাভাবিক জীবনে। তাই দেয়া হচ্ছে প্রাণনাশের হুমকি। প্রাণভয়ে অনেকদিন ধরেই বাড়িছাড়া।
অনেক চেষ্টার পর যমুনা টেলিভিশনের মুখোমুখি হয়ে মোহন জানালেন, খালাতো ভাই শাহাদাতের খপ্পরে পড়ে স্বর্ণপাচার চক্রে জড়িয়ে যান। বিদেশ থেকে আসা স্বর্ণ অভিনব কায়দায় পৌঁছে দিতেন নির্ধারিত ব্যক্তির কাছে। তবে নিজের ভুল বুঝতে পেরে এখন ছাড়তে চান অন্ধকার পথ। সেটাই এখন কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে তার। চক্রটি প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে তাকে। মোহনের দাবি, শাহাদাতের সাথে কথোপকথনের রেকর্ড আছে তার কাছে। প্রমাণস্বরূপ যমুনা টিভিকে তা দিয়েছেন তিনি।
মোহন জানান, তার খালা ভবিষ্যৎ দাঁড় করিয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে স্বর্ণ চোরাচালান চক্রের সাথে যুক্ত করেন তাকে। তার খালাতো ভাই দুবাই থেকে অন্যান্য মালামালের সাথে স্বর্ণ পাঠাতো, সেগুলো জায়গামতো পৌঁছে দেয়ার কাজ করতেন মোহন। প্রতিদিন ১০০ গ্রাম করে স্বর্ণের অন্তত ৫ থেকে ৭টি প্যাকেট আসতো। জানালেন, বাংলাদেশ এবং দুবাই দুই জায়গায়ই চক্রটির লোক রয়েছে।
এদিকে দুবাইয়ে বসবাস করছেন মূল হোতা শাহাদাত। অভিযোগ আছে, সেখানে বসে অবৈধভাবে স্বর্ণের ব্যবসা করছেন তিনি। দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে আছে এই চক্রের আরও সদস্য। এলাকার মানুষের কাছেও বিষয়টি অজানা নয়। তবে এ ব্যাপারে জানতে শাহাদাত তালুকদারের বাড়িতে গেলে তার পরিবার এসব অস্বীকার করে।
আইনজীবী শহীদুল ইসলাম সজিব জানালেন, সরকার নির্ধারিত বিধিমোতাবেক না করা হলে যে কোনো আমদানিই অবৈধ। এটি চোরাচালান হিসেবে গণ্য হবে। মোহনকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শও দেন
/এডব্লিউ
Leave a reply