স্টাফ করেসপনডেন্ট, কুড়িগ্রাম:
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের উদ্যোগে উদ্যোক্তা তৈরির নামে চলছে নানা অনিয়ম। উপস্থিত না থেকেও প্রশিক্ষণ ভাতা তুলছেন কেউ কেউ। বরাদ্দ থাকলেও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে উপকরণ কেনার টাকা।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের কার্যালয়ে চলমান বিউটিফিকেশন ও ফ্যাশন ডিজাইনিং কোর্স ঘিরে উঠেছে বিতর্ক। প্রয়োজনীয় উপকরণ না থাকা ও প্রশিক্ষণার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়সহ নানা অভিযোগ উঠেছে। প্রশিক্ষণ শেষে উত্তীর্ণ হলে প্রত্যেককে দেয়া হয় ১২ হাজার টাকা। প্রতি ব্যাচে ২৫ জন থাকলেও তাদের মধ্যে ৪ জনের দেখা মেলেনি আজ পর্যন্ত। উপস্থিত না থেকেও ভাতা পাচ্ছেন তারা।
তালিকা যাচাই করে জানা গেল তাদের বিস্তারিত তথ্য। অফিস সহকারী রেয়াচত আলী অভিভাবকের নাম পরিবর্তন করে বিভিন্ন কোর্সে তোলেন নিজের মেয়েদের নাম। এছাড়া অস্থায়ী পরিচ্ছন্নতাকর্মীর নাম রয়েছে চলমান দুই কোর্সের তালিকাতেই। কর্মকর্তা আর প্রশিক্ষকদের বিরুদ্ধেও আছে অনিয়মত হওয়ার অভিযোগ। যদিও এক প্রশিক্ষকের দাবি, নিয়মিত উপস্থিত থাকেন তারা, তবে দু’জনের কিছু সমস্যা আছে বলে দাবি তার।
এদিকে, অনিয়মের তথ্য জানতেন না বলে জানালেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরে তাসনিম। তিনি বলেন, এ বিষয়ে এর আগে কোনো অভিযোগ পাইনি। এই প্রথম শুনলাম। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাসও দেন তিনি।
প্রতিটি কোর্সের মেয়াদ তিন মাস। অভিযোগ আছে, বিভিন্ন ছুটি বাদ দিয়ে প্রশিক্ষণ চলে ৬০ দিন। উপকরণ কেনার জন্য প্রতি ব্যাচে বরাদ্দ দেয়া হয় ৬ হাজার টাকা।
এসজেড/
Leave a reply